রেগা ও টুয়েপ প্রকল্পে বেশকিছু বাম সমর্থক শ্রমিককে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে কাজে না নেওয়ার অভিযোগ দুই বাম বিধায়কের।বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে বিলোনীয়া মহকুমা শাসকের সাথে কথা বললেন বাম বিধায়করা।মহকুমা শাসক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আশ্বস্থ করেছেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক দীপঙ্কর সেন ও ঋষ্যমুখ বিধায়ক অশোক মিত্র।
অবশেষে ঘর থেকে বের হলেন বাম বিধায়কদ্বয়। বৃহস্পতিবার বিলোনিয়া কেন্দ্রের বিধায়ক দীপঙ্কর সেন ও ঋষ্যমুখ কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক মিত্র একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে বিলোনিয়া মহকুমা শাসকের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এবং সংশ্লিষ্ট মহকুমার সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।একই সাথে এই মহকুমার রেগা ও টুয়েপ প্রকল্প,রেশন,অঙ্গনওয়ারী সহ একাধিক বিষয়ে মহকুমা শাসকের সাথে কিছু আলোচনা করেন।
মহকুমা শাসকের সাথে সাক্ষাৎ শেষে কক্ষ থেকে বেরিয়ে বিধায়ক দীপঙ্কর সেন অভিযোগ করেন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন সম্পূর্ণ হওয়ার পর বিলোনিয়া মহকুমার রাজনগর, ভারত চন্দ্র নগর ও ঋষ্যমুখ ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে রেগার কাজ নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা জারি রয়েছে। তিনি জানান জব কার্ডধারী বাম এবং কংগ্রেস সমর্থকদের তাদের রেগার কাজে নেওয়া হচ্ছে না এবং কোথাও কোথাও কাজে গেলে কাজ থেকে সে সমস্ত শ্রমিকদের জোরপূর্বক ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনুরূপভাবে বিলোনীয়া পুর পরিষদ এলাকা কয়েকটি ওয়ার্ডে টুয়েপের কাজ করার ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।পাশাপাশি মহকুমা শাসকের নিকট অভিযোগ করা হয় বিলোনীয়া মহকুমার গনবন্টন ব্যবস্থা অর্থাৎ রেশন ব্যবস্থার মধ্যে বেশ কয়েকটি সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকান আছে যেখানে অনৈতিকভাবে বাম এবং কংগ্রেস সমর্থক গ্রাহকদের রেশন প্রদান করা হচ্ছে না। সেইসাথে তিনি বলেন, মহকুমার সর্বত্র হচ্ছে এমনটা নয়,কিন্তু একাংশ জায়গায় হচ্ছে।
বাম বিধায়ক দীপঙ্কর সেন জানিয়েছেন,মহকুমা শাসক তাদের অভিযোগ শুনেছেন এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে আশ্বস্থ করেছেন।
উল্লেখ্য,সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ জেলার সাতটি আসনের মধ্যে বিজেপি তিনটি বামেরা তিনটি এবং আইপিএফটি একটি আসনে জয়ী হয়।