আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ার লক্ষে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এজন্য রাজ্যের যুবক যুবতিদের স্বাবলম্বী হতে আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।মুখ্যমন্ত্রীর এই আহবানে সারা দিয়ে চরিলাম আর ডি ব্লকের অন্তর্গত চেছড়ী মাই গ্রাম পঞ্চায়েতের থালা ভাঙ্গা এলাকার যুবক বিক্রম দাস শুকর পালন শুরু করে। বিক্রম প্রথম একটি শুকর ক্রয় করেছিলেন। তারপর এই একটি শুকর থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে শুকর। বিক্রম উদ্যোগ নেয় একটি শুকরের ফার্ম খুলবে। পরিশ্রম করে টাকা জমিয়ে নিজস্ব জুত জায়গায় 14 লক্ষ টাকা খরচ করে 50 টি শুকরের ঘর করেছেন। তিন বছর হয়েছে ফার্ম তৈরি করেছেন।সেই ফার্মগুলোতে 206 টি শূকরকে লালন পালন করে বড় করে তুলেছেন। একেকটি শুকর আড়াইশো থেকে 300 কেজি 510 কেজি পর্যন্ত হয়েছিল। প্রতিটি শুকর এর দাম ছিল গড়ে প্রায় 50 থেকে 60 হাজার টাকা ।কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস।কয়েকদিনের মধ্যে দেখতে দেখতে সব গুলি শুকর মরে যায়।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন।আগরতলা থেকে এবং মেলাঘর থেকে ভাল চিকিৎসক নিশিকান্ত বাবু এবং গৌরাঙ্গ বাবুকে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। একদিনে 14000 টাকার ভ্যাকসিন করিয়েছেন। দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ করেছেন। এরপরেও শুকর গুলি কে বাঁচাতে পারেনি বিক্রম। সেই শুকর গুলিকে নিজ জায়গায় মাটির নিচে কবর দিয়েছেন।
সে জানায় প্রায় 50 থেকে 60 লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বিক্রমের। 206 টি শূকরের মৃত্যু হওয়ায় মানসিকভাবে একেবারে ভেঙ্গে পড়েছেন বিক্রম দাস। এখন অনেকগুলি শূকরের ঘর খালি। তাঁর বন্ধু থেকে কয়েকটি শুকর ধার করে এনে এখন প্রতিপালন করছেন। সর্বস্বান্ত শুকর পালক বিক্রম দাস পঞ্চায়েত এর নিকট এবং সরকারের নিকট সাহায্য চেয়েছেন। যাতে কিছু সাহায্য পেয়ে আবার শুকর ক্রয় করে শুকর প্রতিপালন করে স্বাবলম্বী হতে পারেন।
তবে কি রোগে শূকর পালক বিক্রমের খোয়ার ঘর উজাড় হল তা কিন্তু স্পস্টভাবে বলতে পারেনি। সে যাহাই হোক এই উদ্যমী যুবক ফের শূকর পালন করে নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াতে চায়। এখন দেখার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এই বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে ।