এগুলো কি চলছে টিসিএতে। প্রশ্ন তুলছেন ক্রিকেট প্রেমীরা। রাজ্যে প্রথম বারের মতো ছয়টি দলকে নিয়ে মেলাঘরের শহীদ কাজল ময়দানে শুরু হলো টি ২০ মহিলা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। অথচ এই টুর্নামেন্টের উদ্ভোধনে ফের ব্রাত্য রয়ে গেলেন রাজ্যের প্রধান অভিভাবক তথা মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা। একই সঙ্গে উদ্ভোধনী মঞ্চে দেখা গেল না কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিককেও। টিসিএ সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর হাতে পায়ে ধরে যে তিমির চন্দ বর্তমানে টিসিএর সহ সভাপতির পদ আকড়ে আছেন, তারই অঙ্গুলি হেলনে নাকি এই সব কিছু হচ্ছে। অবাক করার মতো বিষয়, দিদির আশীর্বাদ নিয়ে এখন দিদিকেই আমল দিতে রাজি নয় তিমির চন্দ। আসলেই তো এটাই হলো তিমির চন্দের আসল চেহারা। অভিযোগ কাজ হাসিলের পর সে উপকারীর উপকার মনে রাখতে চায় না। বর্তমানে ও টিসিএতে তাই করে চলেছেন এই বাম মার্কা তিমির চন্দ। বাকি প্রতিনিধিদের নিজের কূটনৈতিক চালে আটকে যা খুশি তা ই করে চলেছেন এই তিমির চন্দ। তবে অভিযোগ এমনটা ও রয়েছে , তার এই জারিজুরির সঙ্গে আরও দুতিনজন আসটে পৃষ্ঠে জড়িয়ে আছেন। একজন সেই থাপ্পলদার বাবু এবং আরেকজন কেবল প্রতিনিয়ত দিদির দোহাই দিয়ে তিমিরের তালে তাল মিলিয়ে কোমর দোলাচ্ছেন। কি কাজ হচ্চে , আর কেন এই কাজ গুলো করছে তিমির সেগুলো বোঝার কোনো দরকারই নেই এই দু তিনজনের।অভিযোগ এমনটাও তিমিরের টেবলেট তাদের পেটে এমন ভাবে রয়েছে তাতে তিমির যেটাই করে চলেছে ,সব কিছুই ঠিক তাদের নজরে। না হলে এতবড় একটা মহিলা ক্রিকেট টিমের উদ্ভোধন হলো মেলাঘরে, অথচ মঞ্চে নেই মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে কোনো জাতীয় মানের ক্রিকেটারকে ও দেখা গেল না। টিসিএর বিপুল অর্থ রয়েছে। ইচ্ছে করলেই তারা জাতীয় মানের যে কোনো একজন ভালো ক্রিকেটার এনে টুর্নামেন্টের উদ্ভোধন করাতে পারতো। কোথায়, এমন তো কিছুই করলো না টিসিএর নতুন কমিটি। সচিব তাপস ঘোষ আর কোষাধ্যক্ষ জয়লাল দাসের কথা তো বলে লাভই নেই। তাদের মাথায় নুন রেখে অনায়াসেই তিমির যে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করে চলেছে তা কি তারা বোঝেন না। দলের অন্যতম দুইজন সদস্য হলেন তাপস এবং জয়লাল। ভাবলে অবাক লাগে, তাদেরকে অনবরত কিভাবে তিমির টুপি পরিয়ে চলেছেন। মহিলা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অক্সান পর্ব হলো রাজ্যের বিশাল বড় একটি হোটেলে। অথচ উদ্ভোধনে নেই কোনো জাতীয় মানের ক্রিকেটার। উদ্ভোধন করলেন সিপাহিজলা জেলা পরিসদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত। সঙ্গে ছিলেন মেলাঘর পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারমেন গুরুপদ রায় সহ টিসিএর প্রতিনিধিরা। সুপ্রিয়া দাস দত্ত মহোদয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে আসীন। তিনি উদ্ভোধন পর্বে থাকবেন এটা নিশ্চয়ই দরকার। কেন না সিপাহী জলা জেলার সভাধিপতির দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এতে বিন্দুমাত্র কোনো সন্দেহ নেই কারোর। তবে প্রশ্ন হলো কেন টিসিএ এত বড় একটা আসর করার পর উদ্বোধনটা এরকম মেরমেরে করলো, তা নিয়েই এখন গোটা মেলাঘর জুড়ে উঠছে প্রশ্নের ঝড়। টি 20 মহিলা ক্রিকেটের উদ্ভোধন। তা ও প্রথম বারের মতো হচ্ছে রাজ্যে আই পিএলের ফরমেটে। এর মধ্যে একে তো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ব্রাত্য রইলেন সঙ্গে গোটা রাজ্যের ক্রিকেট প্রেমীদের ও বঞ্চিত হতে হলো ভালো একটা ক্রিকেটার দেখা থেকে। টিসিএ ইচ্ছে করলেই একজন জাতীয় মানের মহিলা ক্রিকেটার আনতে পারতেন, এমন তো হলো না। কি চলছে এগুলো টিসিএতে প্রশ্ন সবার।