এই বৃদ্ধার নাম নিয়তি সরকার । বয়স ছুঁই ছুঁই ৮০ বছর । বসত বাড়ি জম্পুইজলা আর ডি ব্লকের যুগলকিশোর নগর এডিসি ভিলেজের রায়পাড়া এলাকায়। বয়সের ভারে নুজ্য। সোজা হয়েও হাঁটতেও পারেন না। কিন্তু হাঁটতে যে হবেই, তাই শেষ বয়সে একখানা লাঠিকেই জীবনের শেষ অবলম্বন হিসেবে নিয়েছেন।
প্রবীণা নিয়তি সরকারের স্বামী মারা গেছেন অনেক বছর আগেই।স্বামী মারা যাবার পর দুই ছেলে এবং দুই মেয়েকে দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়ে মানুষ করেছেন।পরে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন দুই মেয়েকে । এখন দুই ছেলে যখন যে কাজ পায় সে কাজই করে।অর্থাৎ পেশায় দিনমজুর। অতি কষ্টে চলছে তাদের সংসার।এক চালা মাটির ঘরেই কোনমতে মাথা গোঁজার হয়েছে ঠাই। এই অবস্থায় নিয়তি সরকারকে বৃদ্ধ ভাতা দেওয়া হয়েছিল। ফলে আপাত সামান্য চিন্তা ঘুচল নিয়তি সরকারের ।কেননা বৃদ্ধ ভাতার টাকা দিয়ে নিয়তি সরকার হাত খরচ থেকে শুরু করে প্রতিমাসে ঔষধ কেনার খরচটুকু অনায়াসেই চালিয়ে নিয়ে জাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে বিগত 10 মাস আগে বৃদ্ধ ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। কেন ভাতা বন্ধ হয়ে গিয়েছে তা তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না ।
অবশেষে বৃদ্ধা নিয়তি সরকার কোন উপায় না পেয়ে স্থানীয় যুগলকিশোর নগর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পরে জম্পুইজলা ব্লকের বিভিন্ন আধিকারিকদের দরজায় দরজায় কড়া নেরেছেন।কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয় নি। তবে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল ভাতা ফের অবশ্যই চালু হবে । কিন্তু সান্তনাই সাড়। আজও ভাতা ফের চালু হল না বৃদ্ধা নিয়তি সরকারের ভাগ্যে। সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে আবেগের সুরে জানালেন সেই দুঃখের কাহিনী।অভাবের সংসারে এই বৃদ্ধ বয়সে নিয়তি সরকারের ভাতার অর্থটাই একমাত্র ভরসা।
তাই প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন বৃদ্ধ ভাতাটা যেন ফের চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে ।উল্লেখ্য সরকার সময়ের কাজ সময়ে শেষ করার জন্য নির্দেশ জারি করেছে। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্যি,একাংশ দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্তাবাবুরা বরাবরই সরকারী নির্দেশ অমান্য করছেন। এর জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ জম্পুইজলা আর ডি ব্লকের যুগলকিশোর নগর এডিসি ভিলেজের রায়পাড়া এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধা নিয়তি সরকারের ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি। আর এতেই বদনাম সহ্য করতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী সহ সরকার ও প্রশাসনকে।এখন দেখার এই অতি অবশ্যক বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে ।