চলতি বছরের মার্চ মাসে ঢাকায় মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা-শিলিগুড়ি যাত্রী ট্রেনের উদ্বোধন করেন।এবারে শিলিগুড়িতে ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার কথায় শিঘ্রই যে দু’দেশের পতাকা বহন করে শিলিগুড়ির পথে ঢাকার ট্রেনের হুইসেল বাজবে তা ফের সামনে আসলো।আগেই বলা হয়েছিলো কভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এনিয়ে দু’দেশের প্রস্তুতি সম্পন্নই আছে।গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দু’দেশের এই ৫ম রেলসংযোগ উদ্বোধনের পর থেকে পণ্যবাহী রেল পরিষেবা চালু রয়েছে।
এপথে প্রতিমাসে ১০/১২টি পণ্যট্রেন চলাচল করছে। এ রেলসংযোগটি চালু হওয়ায় উভয় দেশের ব্যবসায়ী মহলে আগ্রহ বেড়েছে। শিলিগুড়ি এবং ঢাকার মধ্যে শীঘ্রই ট্রেন চলাচল শুরু হবার বিষয়ে রবিবার ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, দুই শহরের মধ্যে রেল পরিষেবা চালু করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। সে বিষয়ে শীঘ্রই ঘোষণা আসছে।বর্তমানে ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতার মধ্যে যাত্রী ট্রেন চালু রয়েছে। এবারে ঢাকা এবং শিলিগুড়ির মধ্যে যাত্রী ট্রেন চালু হলে প্রচুর পর্যটক ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণেও অনেকে আসেন। তাতে ভারতের উত্তরাঞ্চলের পক্ষে ভালো হবে আশা করেন শ্রিংলা।দার্জিলিঙে সমাজসেবা সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে শ্রিংলা বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব রেল পরিষেবা শুরুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল পরিষেবা শুরু হয়ে যাওয়ায় আরও সুবিধা মিলবে। বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তরবঙ্গকে যুক্ত করতে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে চলেছে।
পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রচুর সুবিধা হবে।শুধু তাই নয়, উত্তরপূর্ব ভারতের যাত্রী ট্রেন শিয়ালদা স্টেশন ছেড়ে বাংলাদেশের বেনাপোল-দর্শনা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে চিলাহাটি স্টেশন হয়ে হলদিবাড়ি পৌছাবে। তাতে ভারতীয় রেলের সাশ্রয় হবে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ।বাংলাদেশের রেলভবন সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক রয়েছে। বাংলাদেশ অপেক্ষায়। ভ্রমণপিপাসু বাংলাদেশিরা গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় করছেন। এখন হুইসেল বাজার ঘোষণার অপেক্ষা। চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ দিয়ে এক সময় শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ির মধ্যে যোগ তৈরি হয়েছিল। যা দিয়ে চলাচল করত দার্জিলিং মেল।১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের পর সেই লাইন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে ৫৬ বছরের প্রতীক্ষার পর আবারও রুট চালু করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে ঋদ্ধিমানের রিপোর্ট