বাম আমল শেষ। এখন চলছে রাম আমল। তবে কোন আমলেই জুটলো না সরকারি সাহায্য হতদরিদ্র এক দিনমজুর পরিবারে। ঘটনা সিমনা বিধানসভার হেজামারা আরডি ব্লকের অধীন চাচু বাজার ভিলেজ এলাকার হলং শিখি পারার বাসিন্দা শম্ভু চরণ দেববর্মার পরিবারে। ঘর ঘর সুশাসনও পৌছল না এই হতদরিদ্র পরিবারে। শুধু আশাতেই দিন গুজরান করে চলেছেন তিনি সহ গোটা পরিবার।
নির্বাচন আসে এবং নির্বাচন যায়। হতদরিদ্র পরিবারগুলির অবস্থা তথইবচ। নির্বাচনের সময় সব রাজনৈতিক দলই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেয়। নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে যাবার পর এই পরিবার গুলির খোঁজ নেওয়ার মতো আর কেউ থাকেনা। এরকমই একটি পরিবার বসবাস করে
সিমনা বিধানসভার হেজামারা আর ডি ব্লকের অধীন চাচু বাজার ভিলেজ এলাকার হলংশিখি পারায়। এই পাড়ার বাসিন্দা হলেন শম্ভু চরণ দেববর্মা ।নিতান্তই হতদরিদ্র পরিবার তার। দিনমজুরি করে আগুন জ্বলে উনুনে তাদের। দুর্ভাগ্যের হলে ও সত্যি বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকারের ঘর ঘর সুশাসনের ছোঁয়াটুকু পর্যন্ত লাগেনি তার পরিবারে। বিগত পাঁচ বছরে জোট সরকারের আমলে কোন সরকারি সাহায্য মেলেনি শম্ভু বাবুর পরিবারে। এমনকি লক্ষাধিক আবাস যোজনার ঘর দেওয়া হলেও বঞ্চিতই রয়ে গেল এই হতদরিদ্র পরিবার। স্ত্রী ও ২ ছেলেমেয়ে নিয়ে শম্ভু চরণ দেববর্মার সংসার। সন্তানেরা নবম দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করবার পর আর্থিক কারণে স্কুলে আর যেতে পারে নি। যেখানে রাজ্য সরকার ড্রপ আউট কমানোর জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ,সেখানে এই হতদরিদ্র দিনমজুরের ড্রপ আউট দুই সন্তানের খোঁজ করার মতো কাউকেই খুঁজে পাওয়া গেল না।
এটাকেই বলে ভাগ্যের পরিহাস। শম্ভুচরণ দেববর্মা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সরকারি সাহায্য পাওয়ার জন্য কাতর আবেদন করলেন। তিনি আফসোসের সঙ্গে আরো জানান প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন করেও সরকারি ঘর সহ কোন সাহায্য তিনি পাননি।
বিগত ২৫ বছরের বাম শাসনেও তার অবস্থা ছিল তথৈবচ। এখন বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকারের সময়ে ও শম্ভু বাবুর হাল একই। রাজ্যে তো পরিবর্তন হলো ঠিকই। কিন্তু শম্ভু দেববর্মাদের মতো লোকেদের জীবন মানের কিন্তু আদতে কোনো পরিবর্তনই হয়নি। এই ভাবে আর কতদিন বঞ্চিত থাকতে হবে গিরিবাসীদের, প্রশ্ন শুভবুদ্ধি সমন্ন মহলের।