অর্থ উপার্জনই কি জীবনের শেষ কথা!তাতে জাহাম্মে যাক অন্যরা, তাতে আমার কি আসে যায়!টাকা পয়সা হলে তো সব কিছুই ম্যানেজ করে যায়।এই গুঞ্জনই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সাব্রুম শহরের অলিতে গলিতে।বিষয় সমাজসেবী তকমার আড়ালে অবঢালে সেক্স রেকেড এর রমরমা।
রাজ্যের দক্ষিণের ছোট শহর সাব্রুম।এই শহরের স্বনামধন্য সমাজসেবী তপন চক্রবর্তী।সাব্রুম শহরে তার একটি বিলাস বহুল হোটেল রয়েছে।প্রতিষ্ঠান টির নাম রাজলক্ষ্মী গেস্ট হাউজ।অভিযোগ এই গেস্ট হাউজটি বর্তমানে সেক্স রেকেড এর আতুর ঘর হয়ে উঠেছে।
সাব্রুম-আগরতলা জাতীয় সড়ক সংলগ্ন সাব্রুম পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের বিপরীতে এই গেস্ট হাউজটিতে প্রায় সময়ই অপরিচিত যুবক-যুবতী, স্কুলের নাবালক ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে গৃহবধূদের এই গেস্ট হাউজের সামনে দিবারাত্রি আনাগোনা রয়েছে বলে সাব্রুমের লোকজনদের অভিযোগ। আর এই অভিযোগ সাব্রুম থানা কাছে দীর্ঘদিন আগে থেকে রয়েছে।অভিযোগ রাজলক্ষী গেস্ট হাউজের মালিক তপন চক্রবর্তী তথা সাব্রুমের সুনামধন্য সমাজসেবী মোটা অংক কামাইয়ের জন্য দিনের পর দিন দীর্ঘদিন যাবৎ সেক্স রেকর্ডের ব্যবসার আতুর ঘর বানিয়ে রেখেছে।আর নিজেকে সমাজের বিশিষ্ট সমাজসেবীর পরিচয় দিয়ে বুক ফুলিয়ে সেক্স রেকর্ডের ব্যবসা করে যাচ্ছেন বলে সাব্রুম শহরের লোকজনদের অভিযোগ। শনিবার গোপন খবরে ভিত্তিতে সাব্রুম থানার ওসি জয়ন্ত কুমার দের নির্দেশে এক বিশাল পুলিশ বাহিনী গেস্ট হাউজের হানা দিয়ে গেস্টহাউজের দোতলার ঘর থেকে এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্র এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠরত ছাত্রীকে অসংলগ্ন অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানায় নিয়ে আসে। খবর জানতে পেয়ে দুপক্ষের তাদের অভিভাবকরা থানায় ছুটে আসেন। দুপক্ষের অভিভাবকদের কোনপ্রকার অভিযোগ না থাকায় জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিভাবকদের হাতে সেই কলেজ পড়ুয়া ছাত্র এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠরত ছাত্রীকে তুলে দেওয়া হয়।
এদিন যখন রাজলক্ষ্মী গেস্ট হাউজে তল্লাশি চালিয়ে সেই কপোত কপোতিকে পাকড়াও করে সেই সময় অবশ্য তথাকথিত সমাজসেবী তপন চক্রবর্তী সেখানে ছিলেন না।স্বাভাবিক ভাবেই এখন তিনি বলতে পারেন আমি থাকলে এই ধরনের ন্যক্কারজনক কাজ কখনই সম্ভব হতো না।বলি,আপনার গেস্ট হাউজে এই ধরনের ন্যক্কারজনক কাজ কি এই প্রথম ?আর আপনার অনুমতি ছাড়া আপনার কোন কর্মচারী এই ধরনের কাজ কি করার সাহস আছে!চাকুরীর মায়া তো সবারই আছে তাই না!
যাই হোক সাব্রুমের শুভবুদ্ধি লোকজনদের অভিযোগ সমাজে সমাজসেবীর পরিচয় লাগিয়ে গেস্ট হাউজের মালিক তপন চক্রবর্তী সাব্রুম শহরটা একেবারে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। অভিভাবকদের দাবি তথাকথিত সমাজসেবী তপন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হউক।যাতে করে এই মৈত্রীর শহরে আর কেউ এই ধরনের কলঙ্কে জড়াতে সাহস না পায় ।