পরিবেশ দূষণ কমাতে প্রয়োজন রিনিউবল এনার্জি। এই রিনিউবল এনার্জি তৈরির জন্য সেকির সঙ্গে চুক্তিবধ্য হলো রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম। ১০০ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার দেবে সেকি। একই সঙ্গে ডুম্বুর লেইকে ফ্লোটিং পাওয়ার প্লেন্ট ও চালু করবে রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম। তৎসঙ্গে গ্রাহকদের সুবিধার্থে আরো বেশ কিছু সিধান্ত নিলো টি এস ই সিএল। একান্ত আলাপ চারিতায় এই সব তথ্য গুলো নিউজ ভেনগার্ডের প্রতিবেদকের সঙ্গে ভাগ করলেন রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের এম ডি দেবাশিস সরকার।
কাঠ ফাটা রোদের ঝলকানি কিন্তু শুরু হয়ে গেছে। পাল্লা দিয়ে দিন দিন বাড়ছে গরমের মাত্রা। এই অবস্থায় বিদ্যুৎ নিয়ে গ্রাহকরা কিন্তু অনেকটাই চিন্তিত। কেন না বিগত দিনে দেখা গেছে চৈত্রের দাবদাহে প্রায় সময়ই বিদ্যুৎ নিয়ে অস্বস্তিতে থাকতে হতো রাজ্যের জনগণকে। তবে এখন আর এই সমস্যা হবে না বলেই অভিমত ব্যক্ত করলেন রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের এমডি দেবাশিস সরকার। তিনি রাজ্যবাসীর উদ্যেশ্যে স্পষ্ট ভাবে জানালেন এখন বিদ্যুৎ নিয়ে ভাবনার কিছুই নেই। লোডশেডিং তেমন একটা হবে না। কথা প্ৰসঙ্গে নিউজ ভেনগার্ডের প্রতিবেদককে তিনি জানালেন, রিনিউবল এনার্জি বাড়াতে রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম সেকির সঙ্গে একটি চুক্তি ও করে নিয়েছে। এই প্রজেক্ট আগামী ২০২৪ সাল থেকে শুরু ও হয়ে যাবে। প্রজেক্টটা সোলার বেসিস প্রজেক্ট। এর থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে টি এস ই সি এল। একই সঙ্গে নতুন ভাবে ডুম্বুর লেইকে একটি ফ্লোরটিং সোলার প্লান্টের ও প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম। এই প্রজেক্ট থেকে প্রায় ১৩০ মেগাওয়াট রিনিউবল এনার্জি পাওয়া যাবে। এককথায় পরিবেশ দূষণ কমাতেই যাবতীয় এই সব পরিকল্পনা।
প্রযুক্তিগত উন্নয়ন হচ্ছে প্রতিদিনই। এরপর ও কিন্তু রাজ্যের কিছু কিছু জায়গায় হুক লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে। এই বিষয়টা রুখতে কি ব্যবস্থা নেবে বিদ্যুৎ নিগম জানতে চাওয়া হলে এমডি সাহেব বললেন, এর জন্য ও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কন্ডাক্টর পরিবর্তন করা হবে। প্রায় এগারো হাজার কিলোমিটার জায়গায় কন্ডাক্টরগুলো পরিবর্তন করে এল টি এ ভি কেবল লাগানো হবে, যাতে চুরি অনেকটাই আটকানো যাবে। মিটারের রিডিং অনুযায়ী গ্রাহকদের বিল দিতে হবে।
বিল নিয়ে বরাবরই গ্রাহকদের মধ্যে কিছু না কিছু অভিযোগ লেগেই থাকে। এই বিষয়টা কিভাবে দূর করা যেতে পারে, জানতে চাওয়া হলে এমডি দেবাশিস সরকার বললেন , এখন থেকে ফটো বিলিং সিস্টেম চালু হবে। বাড়িতে গিয়ে মিটারের সঠিক ছবি তুলে গ্রাহকের সামনেই তার বিল দেয়া হবে। যাতে করে আর এই ঝামেলা না থাকে বিল নিয়ে।
প্রতিটি ডিভিশনে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রয়েছে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত। পোল, কন্ডাক্টর, ট্রান্সফরমার, অয়েল কোনো কিছুরই এখন অভাব নেই। তবে মেন পাওয়ারের কিছুটা সমস্যা রয়েছে বলে তিনি স্বীকার করলেন। যদি ও তা খুব দ্রুত মেনেজ করে নেবেন বলে জানালেন এমডি।
এককথায় রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের এখন একটাই টার্গেট, উন্নত থেকে আরো উন্নততর পরিষেবা দেয়া গ্রাহকদের। সামনেই আসছে বৃষ্টির মরশুম। এর আগেই যাবতীয় সব ছোট খাটো সমস্যা গুলো মিটিয়ে নিতে তৎপর রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম। এখন দেখার আদতে পরিষেবার বহর কতটা আধুনিক হয়।