নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত এক বৃদ্ধ। তাকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। বিলোনিয়া জেলা ও দায়রা আদালত তার সাজা ঘোষণা করেছে।আদালত চত্তরে সাংবাদিকদের একথা বলেছেন এই মামলার স্পেশাল পিপি। রায় ঘোষণা হতেই খুশি নাবালিকার পরিবার।
দশ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত সত্তোর উর্ধ্ব এক বৃদ্ধ। তাকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বিলোনিয়া বিশেষ আদালত। আঠারো জনের সাক্ষ্য বাক্য গ্ৰহনের পর অভিযুক্ত অনিল দাসকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ আদালতের বিচারপতি আশুতোষ পাণ্ডে। বৃহস্পতিবার আদালত চত্তরে সাংবাদিকদের একথা বলেছেন স্পেশাল পিপি প্রভাত চন্দ্র দত্ত। তিনি বলেন বিচারে ৩৭৬ ধারা এবং সিক্স অব পক্সো অ্যাক্ট আদালতে প্রমান হয়েছে। তাই বিচারপতি পক্সো অ্যাক্টে তাকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে। জরিমানা অনাদায়ে দুই মাস অতিরিক্ত হাজত বাসের নির্দেশ দেয় আদালত।
স্পেশাল পিপি প্রভাত চন্দ্র দত্ত বলেন ঘটনাটি ঘটে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের এক তারিখে বিলোনীয়া মহকুমাধীন রাজনগরের নীহারনগর এলাকার রাবার বাগানে। ঘটনার দিন দুপুর বারোটা নাগাদ নাবালিকার মা বাবা বাড়ীতে না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সত্তোর উর্ধ্ব বয়স্ক অনিল দাস দশ বছরের নাবালিকাকে ফুঁসলিয়ে বাড়ির পাশের রাবার বাগানে নিয়ে যায় এবং সেখানে নাবালিকার উপর পাশবিক লালসা চরিতার্থ করে। সেই সঙ্গে তাকে ভয় দেখায় কাউকে এই বিষয়ে বললে তাকে মেরে ফেলবে। তাই ভয়ে নাবালিকা পরিবারের কাছে বিষয়টি জানায় নি। ঘটনার পাঁচ দিন পরে রাতে নাবালিকা বিষয়টি তার মাকে জানায়। ৬ সেপ্টেম্বর ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে পিআরবাড়ি থানাতে নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে অনিল দাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজনগর পি আর বাড়ি থানাতে মামলার নম্বর স্পেশাল ১১পক্সো ২০২২। তদন্তকারী পুলিশ অফিসার পঙ্কজ বিশ্বাস ৩৭৬ (AB) আই পিসি ও সিক্স অব পক্সো এক্টে মামলা নিয়ে আদলতে চার্জসিট দাখিল করে। মামলায় মোট ১৮ জনের সাক্ষ্য বাক্য গ্রহণ করে আদালত। সাক্ষ্য বাক্য গ্রহণের পর অনিল দাসকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
মামলার রায় ঘোষণা হতেই খুশি নাবালিকার পরিবার। নাবালিকা ধর্ষণের মত ন্যাক্কারজনক ঘটনায় অভিযুক্তের ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা হতেই খুশি বিলোনীয়া মহকুমাধীন নীহার নগর এলাকার নাগরিকরা।