পরকীয়ার জের। আপন ছোট ভাইয়ের হাতে খুন বড় ভাই। চাঞ্চল্যকর ঘটনা এয়ারপোর্ট থানাধীন লক্ষ্মিলুঙ্গা চা বাগান এলাকায়। ঘটনার চারদিন পর বাড়ির টয়লেটের গর্ত থেকে উদ্ধার মৃতদেহ। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের পাশাপাশি শোকের ছায়া।
পড়শি মহিলার সঙ্গে আপন দুই ভাইয়ের অবৈধ সম্পর্ক। আর সেই সম্পর্কের জেরেই ছোট ভাইয়ের হাতে খুন হতে হল বড় ভাইকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে এয়ারপোর্ট থানাধীন লক্ষ্মিলুঙ্গা চা বাগান এলাকায়। ঘটনার চারদিন পর সোমবার বাড়ির টয়লেটের গর্ত থেকে উদ্ধার হয়েছে বড় ভাইয়ের পচা গলা নিথর দেহ।
গত কয়েক বছর ধরেই এয়ারপোর্ট থানাধীন লক্ষ্মিলুঙ্গা চা বাগান এলাকায় বসবাস করছিল রাজেশ অধিকারী ও রাজু অধিকারিদের পরিবার। রাজেশ অধিকারি ও তার ছোট ভাই দুইজনই শ্রমিক। দুই ভাই কাজ করে সেই রোজগার দিয়ে চলছে তাদের সংসার। দুই ভাইয়ের মধ্যে খুব মিলও ছিল। সম্প্রতি পাড়ার এক মহিলার সঙ্গে ভাব জমায় দুই ভাই। দুই ভাই প্রায়শই সেই মহিলার বাড়িতে আসা যাওয়া করত। গত কিছুদিন ধরেই এই মহিলাকে নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাক বিতণ্ডা চলছে। এনিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বেশ কয়েকবার ঝগড়া হয়েছে। শুক্রবার গণ্ডাছড়ায় কাজে যাবার কথা ছিল রাজেশ অধিকারির। কিন্তু সে সেখানে কাজে যায়নি। এদিন সে বাড়িতেও আসেনি। শুক্রবার থেকে সে নিখোঁজ হলে বাড়ির লোক তাকে খোঁজতে থাকে। কিন্তু তার কোন হদিশ না পেয়ে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করে। সোমবার সকালে তাদের বাড়ির টয়লেটের গর্ত থেকে রাজেশ অধিকারির পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশে পাশের মানুষ সেই বাড়িতে ভিড় জমায়। তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজু অধিকারি যুক্ত বলে অভিযোগ করেন রাজেশ অধিকারির এক আত্মীয়। তাদের বাড়িতে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। ঘটনার সময়ে সেই সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। তাতেই ছোট ভাই রাজু অধিকারির প্রতি সন্দেহ জাগে।
ঘটনা সম্পর্কে রাজেশ অধিকারির আরেক আত্মীয় বলেন তার মত ভাল ছেলে তাদের বাড়িতে নেই। তাকে এইভাবে খুন করা হবে তা তিনি ভাবতেও পারেননি।
এদিকে বাড়ির লোকদের অভিযোগ মূলে অভিযুক্ত রাজু অধিকারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসা করে এই ঘটনার বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ঘটনাকে ঘিরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় চাঞ্চল্যের পাশাপাশি শোকের ছায়া নেমে এসেছে।