দুষ্কৃতিকারীর হাতে আক্রান্ত এক বিজেপি কর্মী ও তার মা। ঘটনা পূর্বথানাধীন রবীন্দ্রনগর এলাকায়। আহতরা বর্তমানে আইজিএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাপা উত্তেজনা।
ভোট পরবর্তী হিংসা যেন কিছুতেই বন্ধ হচ্ছেনা। এই হিংসা রোধে পুলিশ এক প্রকার ব্যর্থ। পুলিশের ব্যর্থতাকে পুঁজি করে ক্রমাগত সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতিকারীরা। গ্রাম থেকে শহর ক্রমাগত ঘটে চলেছে এই সন্ত্রাস। একাংশ মানুষের বাড়ি, ঘর, দোকানে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, মারধর, হামলা, লুটপাট ইত্যাদি এক প্রকার লেগেই আছে। যদিও রাজনৈতিক সন্ত্রাস বিগত দিনের তুলনায় বহুলাংশেই কম এই অভিমত তথ্যভিজ্ঞ মহলের। তবু কিছুতেই এই সন্ত্রাসের ঘটনায় যেন লাগাম টানা যাচ্ছেনা। সন্ত্রাস রোধে কোথায় দুর্বলতা? কেন এই বিষয়ে পুলিশ কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছেনা? এনিয়ে জনমনে কিন্তু গুঞ্জন শুরু হয়েছে। মানুষ চাইছে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় ইতি টানা হোক।
তবে এই ধরনের সন্ত্রাসের ঘটনা থেকে মুক্ত নয় ১৮ সূর্যমনিনগর কেন্দ্রও। এই কেন্দ্রের রবীন্দ্রনগর এলাকায় CPM কর্মীর হাতে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী ও তার মা। অভিযোগ এলাকার বাসিন্দা অসীম দাসকে বিজেপি করার অপরাধে মারধর করে সিপিএমের কর্মী শংকর রুদ্র পাল। অসীম, শংকর রুদ্র পালের সঙ্গে কাজ করে। সোমবার তাকে ডেকে পাঠায় শঙ্কর। অসীম শঙ্করের বাড়িতে আসতেই তাকে মারধর করে। এই অভিযোগ নিয়ে তার মা যাচ্ছিলেন এলাকার কাউন্সিলারের কাছে। পথে তার মা রেখা রানী দাসকে পেয়ে শঙ্কর ও তার স্ত্রী মিলে দা দিয়ে কোপ বসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। আশেপাশের লোকজন মহিলার চিৎকার শোনে তাকে উদ্ধার করে আইজিএম হাসপাতালে নিয়ে আসে। আইজিএম হাসপাতালে সাংবাদিকদের এই অভিযোগ করেন বিজেপি কর্মী অসীম দাস।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন কিছুতেই যেন সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় না দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন সন্ত্রাসীদের কোন রাজনীতির রং হয়না। দল, মত এবং রাজ নীতির রং না দেখে এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক থেকে শুরু করে এস পি, এস ডি পিও সকল পুলিশ আধিকারিকদের এই নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে পুলিশ সন্ত্রাস দমনে কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। ফলস্বরূপ রাজ্যের বুকে চলছে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। তবে অবিলম্বে এই সন্ত্রাস বন্ধ হওয়া উচিত।