ঠকবাজের আখড়ায় পরিণত রাজধানীর স্মার্ট বাজার। চাকচক্যের নামে নীরবে ক্রেতাদের পকেট কাটছে এই শপিং মল। স্মার্ট বাজারের প্রতারণার শিকার রাজধানীর এক ক্রেতা। হাতে নাতে ধরা পড়ে নতিস্বীকার স্টোর ম্যানেজারের। তবে শীঘ্রই মামলা করবেন বললেন প্রতারিত ক্রেতা।
ত্রিপুরা অনেকাংশেই এগিয়ে গেছে। রাজ্যের মানুষ আধুনিক হয়েছে। সেই আধুনিকতার সুযোগ নিয়ে রাজধানীতে ঝাঁকিয়ে বসেছে শপিং মল গুলি। রীতিমতো ঠকবাজারে পরিণত হয়েছে রাজধানীর একাংশ শপিং মল। চাকচক্যের নামে ক্রেতাদের নীরবে পকেট কাটছে এই শপিং মল গুলি। ক্রেতাদের সরলতাকে পুঁজি করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে স্মার্ট সিটির তথাকথিত এই শপিং মল। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে চলেছে। রবিবার এমনই এক প্রতারণার অভিযোগ এসেছে রাজধানীর স্মার্ট বাজারের বিরুদ্ধে। স্মার্ট বাজার থেকে জিনিষ ক্রয় করে প্রতারণার শিকার রাজধানী রামনগরের বাসিন্দা জয় সাহা। তিনি স্মার্টবাজারে দাঁড়িয়ে নিউজ ভ্যানগার্ডের প্রতিনিধির কাছে অভিযোগ করেন ১০ মার্চ তিনি স্মার্ট বাজার থেকে কিছু জিনিষ ক্রয় করেছেন। এর মধ্যে এক জোড়া মোজা ক্রয় করেছেন যার এম আর পি ছিল মাত্র ১৯৯ টাকা। কিন্তু বিল করার সময় তার কাছ থেকে কৌশলে আদায় করে নিয়েছে ২৮৪ টাকা। রবিবার এই বিষয়ে স্পষ্টীকরণ চেয়ে স্মার্ট বাজারে আসলে তাকে প্রথমে কর্তব্যরত কর্মীরা অগ্রাহ্য করার চেষ্টা করে। টানা দুই ঘণ্টা ধরে তার সঙ্গে তর্ক বিতর্ক শুরু করে দেয়। কিন্তু কিছুতেই কোন ধরনের যুক্তি তারা দেখাতে পারেনি। দুই ঘণ্টা বাদে স্টোর ম্যানেজার উরধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নেয়।
কিন্তু কেন ৮৫ টাকা বেশি আদায় করেছে এই বিষয়ে কেউ সদোত্তর দিতে পারেনি। এই বিষয়টি নিয়ে প্রতারিত জয় সাহা শীঘ্রই আইনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে স্মার্ট সিটিতে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে উঠা এই শপিং মল গুলির প্রতারণার ফাঁদ নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই ভাবে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারনা করে পকেট কেটে চলেছে এই শপিং মলগুলি। চাকচক্যের কারণে ক্রেতারা এই মল গুলিতে এসে ভিড় জমায়। আর সেই সুযোগ ও সরলতাকে পুঁজি করেই কৌশলে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে চলেছে। তবে এই বিষয়ে মহকুমা প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।