জলের অভাবে ধুকছে সব্জিক্ষেত। জমি থেকে মাথা তুলার আগেই নস্ট হচ্ছে গাছ। কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এই পরিস্থিতি তেলিয়ামুড়া মাইগংগা গ্রামের মনাইপাথর এলাকায়। বৃষ্টি না হলে লোকসানের শিকার হবেন গ্রামের বহু কৃষক। তেলিয়ামুড়া মহকুমা কৃষি আধিকারিকরা এই বিষয়ে উদাসীন অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের।
সেচের অভাবে ধুকছে কৃষকের সব্জি ক্ষেত। জলের অভাবে মরে যাচ্ছে গাছ। কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে কৃষককে বড়সড় লোকসানের শিকার হতে হবে। এই পরিস্থিতি তেলিয়ামুড়া মহকুমার মনাইপাথর এলাকায়। সব্জি চাষের জন্য তেলিয়ামুড়ার যথেস্ট খ্যাতি রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সব্জির চাহিদা পূরন করে আসছে তেলিয়ামুড়ার কৃষকেরা। কিন্তু পর্যাপ্ত জলের অভাবে জমিতে ফসল ফলানোর ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। সেচের অভাবে তেলিয়ামুড়া মাইগংগা গ্রামের মনাইপাথর এলাকার কৃষকদের সব্জিক্ষেত নষ্ট হতে চলেছে বলেছেন এক স্থানীয় কৃষক। নিজের জমিতে কারকোল এবং ঢেরস এর বীজ রোপন করেছিলেন এলাকার কৃষক বিশ্বজিৎ সরকার। জমিতে সেচের জলের অভাবে গভীর চিন্তায় পড়েছেন তিনি। প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি জানান উনার জমি থেকে কেনেলের দূরত্ব অনেকটা বেশি। অগত্যা বাধ্য হয়ে কৃষকরা অতিমূল্যে দমকল বা শেলু মেসিন ভাড়া করে জমিতে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। সব্জি ক্ষেতে একবার জল সেচের জন্য ব্যয় হয়ে থাকে দেড় হাজার টাকা। যদি জলের জন্য এত টাকা ব্যয় করতে হয় তাহলে সব্জি চাষ করে লাভের মুখ কি করে দেখবেন? তেলিয়ামুড়া মহকুমা কৃষি আধিকারিকরা এই বিষয়ে এক প্রকার উদাসীন। তাদের উদাসীনতার জন্য কৃষকদের বাঁচার রাস্তা এক প্রকার বন্ধ হবার উপক্রম। কারণ এই গ্রামের মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। মনাইপাথর এলাকায় কৃষি ক্ষেত্রে জল সেচের জন্য কৃষি দপ্তর এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে বেশ কয়েকবার বলেছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই বিষয়ে কোন ধরনের উদ্যোগ নেয়নি পঞ্চায়েতের প্রধান। স্থানীয় কৃষকের কাছ থেকেই শুনুন তার অভিযোগের কথা।
তবে সংবাদ প্রকাশের পর মনাইপাথর এলাকার কৃষকদের জমিতে সেচের জন্য কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা কি ভূমিকা গ্রহণ করে সেটাই দেখার।