পুলিশকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে দুষ্কৃতিকারীরা সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে মোহনপুর বিধানসভায়। রবিবার রাতে অভিচরণ, বীরমোহন এডিসি ভিলেজ এলাকায় তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতিকারীরা। রাত ভর বাড়ি ঘর, দোকান, ভাংচুর, রাবার বাগানে অগ্নি সংযোগ ইত্যাদি চালায়। সোমবার সন্ত্রাসের চিত্র নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করেন এলাকার বিজয়ী প্রার্থী রতন লাল নাথ।
রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর সর্বত্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন দল মত রাজনীতির রং না দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও পুলিশ আধিকারিকরা সন্ত্রাস দমনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছেনা। পুলিশের কাজে কোথাও যেন একটা গাফিলতি প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে। মানুষ রাতে ভয়ে আতঙ্কে ঘুমাতে পারছেন না। আর পুলিশ এক প্রকার উদাসীন।
রবিবার রাতে এমনই একটি সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে মোহনপুর বিধানসভার অভিচরণ, বীরমোহন এডিসি ভিলেজ এলাকায়। বেছে বেছে বিজেপি দলের সমর্থকদের বাড়িতে তিপ্রামথা দলের কর্মীরা ভাঙচুর চালায় বলে আক্রান্ত পরিবার গুলির অভিযোগ। সোমবার মোহনপুর বিধানসভার বিজয়ী প্রার্থী রতনলাল নাথ ওই সকল ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ি এলাকাগুলি সফরে আসেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলির পাশে দাঁড়ান এবং সান্ত্বনা দেন।
তিনি জানান একটা কুচুক্রী দল তিপ্রমথায় গিয়ে এই সমস্ত অমানবিক কাজ গুলি করে যাচ্ছে। তিনি আহ্বান রাখেন তিপ্রামথা এবং বিজেপি দলের কর্মীরা যাতে এ ধরনের ন্যাক্কার জনক ঘটনা থেকে বিরত থাকে। অবিচরণ বাজার এলাকার দেবেন্দ্র দেববর্মা, জেমস দেববর্মা দের বাড়ি ঘরে আক্রমণ সংঘটিত করে এবং দোকান ঘর জ্বালিয়ে দেয়।
রবিবার রাতে বিশালগড়ের করইমুড়ার বাসিন্দা বিজেপি কর্মী দিলিপ বণিকের বাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করে দুষ্কৃতিকারীরা। ঘটনা গভীর রাতে। বোমার বিকট শব্দে বাড়ির লোক এবং আশেপাশের মানুষ আতকে উঠেন। কিন্তু ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হবার সাহস পাচ্ছেন না। সোমবার সকালে এই বিষয়ে বিশাল গড় থানার পুলিশকে জানান বাড়ির লোক। এই ঘটনাকে ঘিরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রাতের আঁধারে কে বা কারা বোমা নিক্ষেপ করেছে তা কেউ বলতে পারছে না।
এদিকে গত তিন দিন ধরে বিশাল গড় বিধান সভা কেন্দ্রের বেশ কিছু এলাকায় চলছে সন্ত্রাস। কিন্তু পুলিশ এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। ফলে মানুষ একটা অজানা আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলেই একের পর এক এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। তবে সন্ত্রাস দমনে পুলিশকে আরও কঠোর হতে হবে।