জিরানিয়ার রানির বাজার, মজলিশপুর, মান্দাই, কোবরা খামার, কাউয়াবন, মহেশপুর, দক্ষিণ মহেশপুর সহ বেশ কিছু এলাকায় নির্বাচনোত্তর থনথমে পরিস্থিতি। তিপ্রা মোথার দিকে অভিযোগের আঙুল। এই ঘটনাকে একটা দুষ্ট মহলের সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দেওয়ার চেষ্টা। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করে পরিস্থিতি সামাল দিল প্রশাসন।
নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের ঘটনায় গোটা রাজ্যে বর্তমানে এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। এরমধ্যে শুক্রবার রাতে জিরানিয়ার রাণির বাজার, মজলিশপুর, মান্দাই, কোবরা খামার, কাউয়াবন, মহেশপুর, দক্ষিণ মহেশপুর, সহ পার্শ্ববর্তী বেশ কিছু এলাকায় নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের ঘটনায় পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠলো। হামলা পাল্টা হামলায় যখন পরিস্থিতি থমথমে তখন এই সন্ত্রাসের ঘটনার নেপথে তিপ্রা মোথার দিকে মূল অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে। এরমধ্যে একটা দুষ্ট চক্র মহল এই সন্ত্রাসকে সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দেওয়ার চেষ্টা করলে, শুক্রবার রাত থেকেই স্থানীয় একাংশ নিরীহ আতঙ্কিত সাধারণ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে শুরু করেন। খালি হয়ে যেতে শুরু করে স্থানীয় বহু বাড়ি। তবে একাংশ সাধারণ ভয় জয় করে বাড়িতেই রাত কাটিয়েছেন।
প্রশাসনের তরফে সময়োপযোগী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে।
তবু একটা অংশের
জনসাধারনের মধ্যে ভয় এবং আতঙ্ক তখনও কাটেনি।
এদিকে শনিবার বিকেলে জিরানিয়ার অগ্নিবীণা কমিউনিটি হলে প্রশাসনের তরফে সর্বদলীয় শান্তি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এবং স্থানীয়দের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিজয়ী বিজেপি প্রার্থী সুশান্ত চৌধুরী। তবে পুলিশ প্রশাসনের সময়োপযোগী পদক্ষেপে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা সম্ভব হয়েছে, বলে জানালেন এলাকার বিজয়ী বিজেপি প্রার্থী সুশান্ত চৌধুরী।
বে বলাই বাহুল্য নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের ঘটনায় গোটা রাজ্যে বর্তমানে এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। এই নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের ঘটনায় অভিযোগের অধিক আঙ্গুল উঠছে তিপ্রা মোথার দিকে। এই অবস্থায় রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা শান্তি রক্ষায়, সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতে এ মুহূর্তে গোটা রাজ্য চষে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল এই নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের ঘটনায় যখন তিপ্রা মোথার দিকে অধিক অভিযোগের আঙুল উঠছে, এ অবস্থায় রহস্যজনক কারণে নিশ্চুপ দলীয় সুপ্রিমো প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মা। উল্টো নিজ ফেসবুক পোস্টে দলীয় কর্মীদের তথাকথিত জাগ্রত হওয়ার বার্তা দিয়ে সুড়সুড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন মোথা সুপ্রিমো।
কি লিখেছেন প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মা তার ফেসবুক পোস্টে, তা একবার শুনে নেয়া যাক।
নির্বাচন, ভোট গণনা, ফলাফল ঘোষণা সম্পন্ন। কিন্তু অনভিপ্রেত অভূতপূর্ব রাজনৈতিক সন্ত্রাসের জেরে রাজ্যে এক অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি। এই পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মীদের জাগ্রত হওয়ার বার্তা দিয়ে কার্যত সুরসুরি প্রদান করে কি চাইছেন মোথা সুপ্রিমো? এই রাজ্য সর্বসাধারণের সম্প্রীতির রাজ্য, কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা আপামর রাজ্যবাসি কোনদিন কোনভাবে আর মেনে নেবে না।
এই পরিস্থিতিতে তথ্যভিজ্ঞ মহলের একটাই বার্তা, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের একটা ষড়যন্ত্র চলছে, সুতরাং সাধু সাবধান।