রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে সরকারিভাবে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় এ মরশুমে ২০২৩ জানুয়ারির ৩১ পর্যন্ত চালু থাকবে। এই মরশুমে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে আহুত সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন খাদ্য দপ্তরের সচিব সন্দীপ আর রাঠোর। এছাড়া দপ্তরের ১৫ জন ফুড ইন্সপেক্টর ও ৩৫ জন অন্যান্য গ্রুপ সি পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানালেন।
রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে বর্তমানে সরকারিভাবে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় চলছে। পাশাপাশি বিভিন্ন দপ্তরে চলছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এই অবস্থায় খাদ্য দপ্তরের সচিব সন্দীপ আর রাঠোর বৃহস্পতিবার মহাকরণে আহুত সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যে বর্তমানে রাজ্যের কি পরিমান খাদ্য মজুদ রয়েছে এবং দপ্তর জনকল্যানে কি কি প্রকল্প গ্রহণ করেছে সেসব তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরলেন। সন্দীপ আর রাঠোর সাংবাদিকদের জানান গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে এই মরসুমে পুনরায় রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে সরকারিভাবে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করা শুরু হয়েছে, যা ২০২৩ জানুয়ারির ৩১ তারিখ পর্যন্ত পর্যন্ত চলবে।
শুধু তাই নয় খাদ্য দপ্তরে ১৫ জন ফুড ইন্সপেক্টর এবং ৩৫টি অন্যান্য গ্রুপ সি পদে নিয়োগের ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও খাদ্য দপ্তরের সচিব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এছাড়া জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে বরাদ্দকৃত যে পরিমাণ খাদ্যশস্য বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে সে তথ্যও তিনি তুলে ধরেন। একই সাথে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার মাধ্যমে পাঁচ লক্ষ নিরানব্বই হাজার পরিবার উপকৃত হয়েছেন বলেও তিনি জানান। এছাড়া দপ্তর রেশন শপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের স্বার্থে ১০০ গ্রাম সোয়াবিনের প্যাকেট ১৬ টাকা মূল্যে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে রেশন
শপগুলোর পাশাপাশি ৩৭ লক্ষ জনগণ বিশেষভাবে উপকৃত হবেন বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান ২০২২ সাল থেকে এসপিরেশনাল জেলা হিসেবে রাজ্যের ধলাই জেলাতে ফর্টিফায়েড চাল বিতরণ করা হচ্ছে এবং এপ্রিল ২০২৩ থেকে রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও এই চাল বিতরণ শুরু করা হবে। দপ্তরের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন জিরানিয়ার বেলবাড়িতে ৫০০ মেট্রিক টন স্টোরেজ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি নতুন খাদ্য গুদাম চালু করা হয়েছে এবং উদয়পুরের চন্দ্রপুরে আরও এক হাজার মেট্রিক টন স্টোরেজ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি নতুন খাদ্য গুদামের উদ্বোধন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান ক্রেতা স্বার্থ সুরক্ষা সুনিশ্চিতকরণে রাজ্যে বর্তমানে একটি স্টেট কনজিউমার ডিসপিওট রিড্রেসাল কমিশন এবং পশ্চিম ত্রিপুরা, ধলাই, গোমতী ও ঊনকোটি জেলায় একটি করে মোট চারটি ডিস্ট্রিক্ট কনজিউমার কমিশন ক্রেতা স্বার্থ সুরক্ষায় কাজ করে চলছে। সর্বশেষ তিনি জানান ক্রেতা স্বার্থ সুরক্ষায় উত্তর ত্রিপুরা, খোয়াই এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় একটি করে মোট আরো ৩টি নতুন ডিস্ট্রিক্ট কনজিউমার কমিশন গঠন করা হবে।