তিলাই, কদমা ও বাতাসার কারখানা খুলে সাবলম্বি কমলপুরের চলুবাড়ি পঞ্চায়েতের চলুবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা জিতেন্দ্র দাস।বর্তমানে এই কারখানার উপর নির্ভর করেই ১৫ জন শ্রমিকের ১৫টি পরিবারের ভরন পোষন চলছে।তার মতে, বেকার যুবক যুবতীরাও চাইলে নিজেদের বাড়িঘড়ে এই ধরনের কারখানা চালু করে সাবলম্বী হতে পারেন।
পৌষ সংক্রান্তি সমাগত প্রায়।এর আনুষ্ঠানিক নাম মকর সংক্রান্তি ।বাঙ্গালির এই লৌকিক অনুষ্ঠানে তিলাই, কদমা ও বাতাসার প্রয়োজন হয়।রাজ্যে অগ্রহায়ণ মাস থেকেই শুরু তিলাই ও কদমা বনানো।কিন্তু কমলপুরের দুর্গা চৌমুহনী ব্লকের চলুবাড়ি পঞ্চায়েতের চলুবাড়ি গ্রামের জিতেন্দ্র দাসের কারখানায় সারা বছর তিলাই, কদমা ও বাতাসা তৈরী হয়।২০০৯ সালে একটি বেসরকারী ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে জিতেন্দ্র দাস নিজ বাড়িতেই এই কারখানা চালু করেন।বর্তমানে ১৩ থেকে ১৫ জন কারিগর দৈনিক বা মাসিক বেতনে এই কারখানায় কাজ করেন।জিতেন্দ্র দাসের কারখানায় তৈরী তিলাই, কদমা ও বাতাসার প্রচুর চাহিদা রয়েছে।শুধু কমলপুর নয়, উনার কারখানায় তৈরি সামগ্রীর উত্তর, ঊনকোটি ও ধলাই জেলা সহ পশ্চিম জেলাতেও চাহিদা রয়েছে।এদিন নিজ কারখানার সামনে দাড়িয়ে এই কথা জানান জিতেন্দ্র দাস।
এদিন কারখানার মালিক জিতেন্দ্র দাস জানান, বেকার ভাই বোনেরাও চাকরির পেছনে না দৌড়ে নিজ বাড়িতে এই ধরনের কারখানা খুলতে পারেন।এতে চাকরি থেকে অনেক বেশি আয় করতে পারবেন।তবে এর পেছনে লেগে থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, কমলপুরে এই ধরনের তিলাই, কদমা ও বাতাসা’র কারখানা নেই।তাই কমলপুর মহকুমা জুড়ে জিতেন্দ্র দাসের কারখানায় তৈরি সামগ্রীর বেশ কদর রয়েছে।সারা বছর ব্যবসায়ীদের তিলাই, কদমা ও বাতাসা সাপ্লাই দিতে পারায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জিতেন্দ্র দাসের তৈরি সামগ্রীর চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলছে।