বিগত কয়েক দিন ধরে বিলোনিয়ার মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় পেটের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মধ্যে মাইছড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীন পূর্ব কলাবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সবচাইতে বেশি এই ধরনের রোগী আসছে। বিশেষ করে এখানকার গাছবাড়িয়া এবং কলাবাড়িয়া এ দুটি জায়গা থেকে এই রোগ ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে।আক্রান্তরা মাইছড়া প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে একের পর এক ভর্তি হচ্ছেন।
এই অবস্থায় মঙ্গলবার মাই ছাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শনের পাশাপাশি এই দুটি এলাকাতেও পরিদর্শন করেন দক্ষিণ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সুব্রত দাস।তিনি বলেন।ভয় বা আতঙ্কের কোন কারণ নেই। শুধুমাত্র নিয়ম মেনে চলুন। ৩০ মিনিট জল ফুটিয়ে ঠান্ডা করে পান এবং কাজ করার পর ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে খাওয়া দাওয়া করুন।
ডাঃ দাসের প্রাথমিক ধারণা জল বাহিত কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। তবে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান তিনি। তাই অযথা মানুষকে আতঙ্কিত না হতে তিনি আবেদন রাখেন। গতকাল পর্যন্ত মাইছড়া প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে ৬৪ জন রোগী পরিষেবা নেওয়া এবং ১১ জন ভর্তি থাকার পর আজ নতুন করে ১৫ জন একই রোগে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে গেছেন। এছাড়াও বিলোনিয়া মহকুমা হাসপাতালে প্রায় ১৫ জন রোগী রয়েছে এই রোগে জানান মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারীক।
এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় একটা চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে।তবে স্বাস্থ্য বিভাগের দ্রুত গৃহীত পদক্ষেপে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে চাপা আতঙ্ক ক্রমেই দূরীভূত হওয়ার পথে।
বিলোনিয়ার গাছবাড়িয়া এবং কলাবাড়িয়ার একাংশে পেটের রোগের পার্দুভাব।আক্রান্তরা মাইছড়া প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে একের পর এক ভর্তি হচ্ছেন।হাসপাতালে রোগীর ভিড় ।জল বাহিত রোগ এবং অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দাবি জেলার সিএ্মও ডাঃ সুব্রত দাসের ।