২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনের মুখে দাবী আদায়ে মাঠে নামছে ত্রিপুরা কর্মচারী সমন্বয় কমিটি। বকেয়া ডি এ এবং সপ্তম বেতন কমিশনের ইনডেক্স অনুযায়ী রাজের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনের দাবিতে এবার রাস্তায় নামতে চলেছে ত্রিপুরা কর্মচারী সমন্বয় কমিটি এইচ বি রোড। রাজধানীতে সংগঠনের রাজ্য কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কর্মসূচীর কথা ঘোষণা করলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক।
২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচন ক্রমশই দোর গোড়ায় এসে হাজির হচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হতে পারে বিধানসভা নির্বাচন। বিধানসভা নির্বাচনে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে রাজ্যের শিক্ষক কর্মচারীদের একটা গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা থাকে। সেই মত ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনের মুখে শিক্ষক কর্মচারীদের দাবি আদায়ে ময়দানে নামছে ত্রিপুরা কর্মচারী সমন্বয় কমিটি এইচ বি রোড। ১ জানুয়ারি রাজধানীতে হবে সংগঠনের উদ্যোগে মিছিল ও সভা। শুক্রবার রাজধানীতে সংগঠনের রাজ্য কার্যালয়ে আহুত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কর্মসূচীর কথা ঘোষণা করলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন বল। তিনি বলেন সম্প্রতি রাজ্য সরকার শিক্ষক কর্মচারীদের ১২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করেছে। এনিয়ে শাসক দলের একাংশ নেতা নেত্রী রাজ্যের মানুষকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন ডিএ প্রদানের কথা এমনভাবে প্রচার করা হচ্ছে যে এই প্রথম রাজ্যের কোন সরকার ১২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান করেছে। স্বপন বল বলেন, বিগত দিনে রাজ্যের শিক্ষক কর্মচারীদের এক সঙ্গে ২০ শতাংশ ডি এ প্রদান করা হয়েছে। ১৬, ১৩,১২,১০ শতাংশ এক সঙ্গে ডি এ প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন এখনো রাজ্যের শিক্ষক কর্মচারীর ১৮ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বকেয়া। অবিলম্বে এই মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেবার দাবি জানিয়েছেন সাধারন সম্পাদক। যারা ডি এ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজ্যের শিক্ষক কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তাদের উদ্দেশ্যে স্বপন বল বলেন, আপনাদের পদের একটা গুরুত্ব আছে মর্যাদা আছে। তাই মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজেদের পদের
অমর্যাদা না করার আহ্বান জানিয়েছেন। বকেয়া ১৮ শতাংশ ডি এ প্রদান সহ ১০ দফা দাবীকে সামনে রেখে ১ জানুয়ারি রাজধানীতে মিছিল ও সভা করবে ত্রিপুরা কর্মচারী সমন্বয় কমিটি এইচ বি রোড।
সাংবাদিক সম্মেলনে স্বপন বল অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালের বিধান সভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ভিশন ডকুমেন্টে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার ক্ষমতায় আসলে ১০৩২৩ শিক্ষকদের সমস্যার সমাধান করা হবে। প্রয়োজনে সংসদে আইন পাশ করে, সংবিধান সংশোধন করে তাদের চাকুরি বাঁচানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সরকারের পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হতে যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি। অথচ চাকুরি হারিয়ে ১৪৮ জন শিক্ষক প্রয়াত হয়েছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নেত্রী মহুয়া রায় সহ অন্যান্যরা।