শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য বর্তমান রাজ্য সরকার আন্দোলন নয় আলোচনায় বিশ্বাসী।কিন্তু বিগত সাড়ে চার বছর আলোচনার পরও চাকুরিতে নিয়মিতকরন ও বেতন ভাতা বৃদ্ধি পায়নি সমগ্র শিক্ষায় অশিক্ষক পদে কর্মরতদের।অথচ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে অন্যান্যদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি পেয়েছে।শনিবার শিক্ষা ভবনে শিক্ষা অধিকর্তার নিকট ডেপুটেশন প্রদান করে
একথা বললেন সমগ্র শিক্ষা নন টিচিং কমিটির সম্পাদক কার্তিক দত্ত।
তাদের সবার হাতে হাতে
প্লে কার্ড।যেখানে লেখা রয়েছে সমগ্র শিক্ষার অশিক্ষক কর্মীদের অবিলম্বে চাকুরিতে নিয়মিতকরন করতে হবে। আবার কারোর হাতে প্লে কার্ডে লেখা পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমগ্র শিক্ষার অশিক্ষক কর্মীদের আর ও পি অনুসারে বেতন বৃদ্ধি করতে হবে।তাদের হাতের প্লে কার্ডে লেখা সম কাজে সম বেতন এই দাবীতেই আন্দোলন।
শনিবার চাকুরীতে নিয়মিত করন বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে শিক্ষা ভবনের সামনে জমায়েত হয় সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পে রাজ্যে কর্মরত অশিক্ষক কর্মচারীরা উদ্দেশ্য তাদের সংশ্লিষ্ট দাবিতে শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা নিকট ডেপুটেশন প্রদান এবং সমগ্র শিক্ষা নন টিচিং কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিমূলক ডেপোটেশন প্রদান করা হয় ডেপুটেশন প্রধান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের রাজ্য সেক্রেটারি কার্তিক পাল এক রাশ ক্ষোভ উগরে দেন ।তার বক্তব্য বর্তমান শাসক দলের নেতৃত্বরা কথা দিয়ে কথা রাখেনি।
তিনি বলেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ মঞ্জুরী দিচ্ছে। অথচ সেই অর্থ প্রাপ্তি থেকে সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পে রাজ্যে কর্মরত অশিক্ষক কর্মচারীরা এখনও বঞ্চিত।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পে কর্মরতদের সংগঠন এর রাজ্য সম্পাদক জানান,দুই হাজার সতের সালে তদানীন্তন বাম আমলে শেষ বেতন ভাতা বৃদ্ধি হয়েছিল। কিন্তু এরপর আর বেতন বৃদ্ধি হয়নি।
তিনি আশা পোষণ করেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী তাদের ন্যায্য দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
তা না হলে সংশ্লিষ্ট সংগঠন বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে উল্লেখ্য বর্তমানে রাজ্যে সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পে ৪৮৫ জন কর্মরত রয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। এবং তাদের অধিকাংশদেরই নিয়োগ করা হয়েছিল বিগত জমানায়।