আগরতলা শহরের প্রতিটি মহল্লা ড্রাগসের ঠেক হয়ে গেছে। আর তাতে জড়িত হচ্ছে উঠতি বয়সের যুবক যুবতী। তাদেরকে নেশার করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে হবে। এই কাজে সমাজের সকল অংশের নাগরিকদের সহযোগিতা করতে হবে। আগরতলা পৌর নিগমের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় একথা বললেন পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর এবং ত্রিপুরা এইডস কন্ট্রোল সোসাইটি’র যৌথ উদ্যোগে আগরতলা পৌর নিগমের কনফারেন্স হলে ড্রাগ ব্যবহার এবং এইচআইভি এইডস নিয়ে নিগমের কর্পোরেটরদের নিয়ে এক সচেতনতামূলক আলোচনা চক্র অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বীপ দেববর্মা প্রমুখ। আলোচনা চক্রে আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন,
শহরের প্রতিটি মহল্লা ড্রাগসের ঠেক হয়ে গেছে। আর তাতে জড়িত হচ্ছে উঠতি বয়সের যুবক যুবতী। এখন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ও নেশা দ্রব্য ঢুকে যাচ্ছে। তাদেরকে নেশার করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে হবে। এই কাজে সমাজের সকল অংশের নাগরিকদের সহযোগিতা করতে হবে। আলোচনা সভায় একথা বললেন দীপক মজুমদার।
সচেতনতা মূলক আলোচনা চক্র সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বীপ দেববর্মা বলেন, রাজ্যের সর্বত্রই নেশা দ্রব্য ছড়িয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে ড্রাগস, এইচ আই ভি ইত্যাদি। এর থেকে সমাজকে রক্ষা করতে হবে। বর্তমানে উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে এইচ আই ভি এইডস। রোগীর সংখ্যা। তিনি তথ্য দিয়ে বলেন আগরতলা পৌর নিগম এলাকায় তিন শতাধিক এইচ আই ভি, এইডস রোগী রয়েছে। দিন কে দিন বেড়েই চলেছে আক্রান্তদের সংখ্যা।এর থেকে যুবক যুবতিদের মুক্ত করতেই এই ধরনের সচেতনতা মূলক আলোচনাচক্র। রাজ্যের সমস্ত মহকুমাতেই চলছে এই ধরনের সচেতনতা মূলক কর্মসূচি।
আলোচনা চক্রের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত মহকুমাতেই জন গণের মধ্যে একটা সতর্কতা মূলক বার্তা দিতে চাইছে স্বাস্থ্য দপ্তর। তবে জনগণ সতর্ক হলে তবেই রাজ্যকে নেশার করাল গ্রাস ও এইচ আই ভি, এইডস থেকে মুক্ত করা যাবে।