কারাগার থেকে এক বিচারাধীন বন্দীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল। ঘটনা সোমবার সকালে কমলপুর মহকুমা কারাগারে। মৃত বিচারাধীন বন্দীর নাম নারায়ন দাস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কমলপুর মহকুমা কারাগারের অন্যান্য বিচারাধীন বন্দীর এর মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ মুখে কুলুপ আঁটায় ঘটনাটি আত্মহত্যা না অন্যকিছু তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ঘোর রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এক বিচারাধীন বন্দীর রহস্য মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো কমলপুর মহকুমা কারাগারে। মৃতের নাম নারায়ন দাস। সোমবার সকালে কারাগারের শৌচালয় তার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় অন্য এক বিচারাধীন বন্দী। খবর ছড়িয়ে পড়তেই জেল কোয়ার্টার থেকে জেলার অমল কৃষ্ণ দেববর্মা কারাগারে ছুটে আসেন। ছুটে আসছেন কমলপুর মহকুমা শাসক অভিজিৎ চক্রবর্তী, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সব্যসাচী দেবনাথ, আমবাসা থেকে ধলাই জেলার ফরেন্সিক দল সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। মৃতদেহ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য আগরতলা জিবি হাসপাতালে পাঠানো হয়। কারাগারে বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু নিয়ে কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলতে চাননি। প্রশাসন ও কারাগার কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকায় মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, মৃত বিচারাধীন বন্দি নারায়ণ দাসের মূল বাড়ি আমতলী থানাধীন হাঁপানিয়ার মধ্য পাড়া এলাকায়। সে জয়া শাহি নামে এক নেপালি মেয়েকে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর স্ত্রী এবং শাশুড়ি কে নিয়ে আমবাসা কলোনীতে থাকতো। 2021 সালের 11 ই জানুয়ারি নারায়ণ দাস ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার স্ত্রী জয়া শাহী এবং শাশুড়ি কাজলি শাহী-র উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ঘটনাস্থলেই তার স্ত্রী নিহত হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথে গুরুতর আহত শাশুড়ি কাজলি শাহী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 302 ধারা রুজু করা হয়। বর্তমানে জেলা আদালতে এই মামলার সাক্ষ্যদান প্রক্রিয়া চলছিল। আরও জানা গেছে রবিবার রাতে কমলপুর মহকুমা কারাগারে থাকা সব বন্দিরা একত্রিত হয় টিভিতে একটি অনুষ্ঠান দেখে। সেখানে নারায়ণ দাসও উপস্হিত ছিল।তারপর যে যার সেলে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সোমবার সকাল ছয়টা কুড়ি মিনিট নাগাদ কারাগারের দুই নম্বর সেলের এক বিচারাধীন বন্দি প্রাকৃতিক কাজ সারতে শৌচালয়ে গেলে নারায়ণ দাসের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। ঘটনাটি জানাজানি হতেই কারাগারে থাকা অন্যান্য বন্দিদের মধ্যে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। চাঞ্চল্য ছড়ায় প্রশাসন এবং কারাগার কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা নিয়েও। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হাতে নিয়ে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে কমলপুর থানার পুলিশ। পুলিশি তদন্তে কারাগারে বিচারাধীন বন্দির রহস্য মৃত্যুর ঘটনা কোন দিকে মোর নেয় সেটাই এখন দেখার।