পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাবার পর লন্ডন হয়ে নয়াদিল্লী, সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গের মাটি স্পর্শ করে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে পা রাখেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দিনটি বাঙালির কাছে আবেগের।ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়েছে জাতির পিতা প্রটিকৃতি। সেখানেই প্রতুষ্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা তথা বাঙলার উন্নয়নের প্রতীক শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতের পেছন দিয়ে বয়ে গিয়েছে লেক। হাল্কা বাতাসে লেকের জলও যেন আনন্দে নেচে ওঠছে। হাল্কা ঢেউ তুলে সালাম জানিয়ে যাচ্ছে জাতির জনককে।দিনটি ঘিরে আয়োজন করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন-২০২২।স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব জন্মশতবার্ষিকী পালন করছে বাঙালি জাতি। কিন্তু এখনও স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। দিনটি সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে এমন মন্তব্যই তুলে ধরেন এই সমাজচিন্তক নাদিয়া শারমিন।
দশ জানুয়ারি দিনটি পালন হচ্ছে এমন একটা সময়ে, যখন বাঙালি জাতি পালন করছে স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার ৫০ বছরে দাঁড়িয়ে অনেকেই নিউজ ভ্যানগার্ডকে শোনালেন আশারবাণী। তাদের দৃষ্টিতে গুচ্ছ উন্নয়নের কথাও ওঠে আসে।ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুল ইনলাম হাসিব বক্তব্যে।
বাংলাদেশের পঞ্চাম বছরে বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে তিনি যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে বলা হয়েছিলো অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কথা। শুধু তাই নয়, তিনি দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ডাক দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ। রাতের আধারে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাপিয়ে পড়ে বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী। হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ হেন কাজ নেই যা তারা করেনি। প্রাণ বাচাতে সেদিন কাতারে কাতারে মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে ছুটে গিয়েছিলো ভারতে। আশ্রয় নিয়েছিলো বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে। দীর্ঘ ন’মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এবং মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় লালসবুজে খচিত পতাকা। সেদিন বাঙলার মাটি ভিজেছিলো মুক্তিবাহিনী ও ভারতের মিত্রবাহিনীর সৈনিকদের তাজা রক্তে। সেই বাঙলাদেশের বয়স এখন পঞ্চাশ। চোখ ধাধানো উন্নয়ন। আকাশ থেকে জলের তলা জয় করা বাঙলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করে বিশ্বজোড়া নজির গড়েছে। নির্মাণ হয়েছে কর্ণফুলী টানেল, গভীরসমুদ্র বন্দর, সভ্যতার প্রতীক কানেক্টিভিটি, নতুন নতুন রেলপথ ইত্যাদি উন্নয়ন এসেছে শেখ হাসিনার হাত ধরেই।
ঢাকা থেকে ঋদ্ধিমানের রিপোর্ট