১৯৬৯ সালে ব্যাংক রাষ্ট্রীয়করণের সূচনা হয়েছিল। সরকার এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ভরসা অর্জন করতে চেয়েছিল ব্যাংকের প্রতি। একটা সময় যখন লাল বাতি জ্বালিয়ে জনগণের গচ্ছিত অর্থ ডুবিয়ে দিচ্ছিল ব্যাংকগুলো ,সেই সময়কার অবিশ্বাসের বাতাবরন থেকে বেরিয়ে আসার জন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছিল ইন্দিরা গান্ধি সরকার। সে সময় থেকে এখন বহু বছর পেরিয়ে গেছে ,কালের বিবর্তনে ব্যাংকের সংখ্যাও বেড়েছে। তবে এখনো কি সত্যিকারের অর্থে সুরক্ষিত আছে সাধারণের অর্থ ব্যাংকের কাছে? এই প্রশ্ন নানা সময় কিন্তু উঠেই থাকে। যুগের এবং প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চোরেদের ও আপগ্রেড হয়েছে।
এটিএম হ্যাক থেকে শুরু করে OTP নিয়ে একাউন্ট খালি এবং দেওয়া, সব ই হচ্ছে রাজ্যে এবং দেশে।ব্যাংকের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের বিভিন্ন ভাবে সতর্ক করার চেষ্টাও করা হয়ে থাকে। কিন্তু তারপরেও গ্রাহকদের অসতর্কতায় এবং ব্যাংকের বদান্যতায় অনেক গ্রাহকের একাউন্ট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।পূর্বে গ্রাহকদের ফোনে প্রতারকরা ফোন করে ATM PIN অথবা ফোনে আসা OTP নম্বর চাইতো এবং তারপরেই ফাঁকা হয়ে যেত একাউন্ট, কিন্তু এখন আরো এক ধাপ এগিয়ে গেছে প্রতারকরা। UPI এর মাধ্যমে সম্পূর্ন গ্রাহকের অজান্তেই একাউন্ট খালি করে দিচ্ছে প্রতারকরা।
পার্বত্য রাজ্য ত্রিপুরায় ATM HACKING এর ঘটনার পর আবারও অত্যাধুনিক কায়দায় ব্যাংক লুটের ঘটনা সামনে আসছে। এমনই ঘটনা ঘটল রামনগরের বাসিন্দা মহম্মদ আনোয়ার হোসেনের সাথে। সরকারি কর্মচারি আনোয়ার হোসেন ১ তারিক যাথারীতি বেতন পেয়েছেন ,তারপের দিন তিনি ব্যানকের পাসবুক আপডেত করে জান্তে পারেন তার একাউন্ট থেকে ২৪হাজার ৬০৯ টাকা গায়েব হয়ে গেছে। কিছুই বুঝে উঠতে না পেরে অনুয়ার বাবু ছুটে জান তার HOME BRANCH , SBI এর মেলার্মাঠ শাখায়। সেখানে তিনি জানতে পারেন তার একাউন্টে অপর এক মুম্বাইয়ের বাসিন্দার নম্বর যুক্ত হয়ে রয়েছে তার অজান্তেই।ধারণা করা হচ্ছে তার মাধ্যমেই টাকা চলে গেছে প্রতারকের কাছে। আনোয়ার বাবু ব্যাংকের কর্মীদের কথামত থানায় GD entry করেন। যদিও আনোয়ার বাবুর টাকা ফেরথ পাবার প্রশ্নের কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেন নি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। শুনে নিন দর্শকবন্ধুরা কি অভিজোগ করছেন অনুয়ার বাবু
অনুয়ার হোসেনের অভিজোগ তার কোনো ভুল না থাকা সত্ত্বেও তার একাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গেল এবং যে ব্যাংকে টাকা রেখেছিলেন সুরক্ষিত রাখার জন্য সে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও এখন কোনো সুযোগ্য জবাব দিতে পারছেন না।বেতনের সব টাকা হারিয়ে এখন অনুয়ার বাবু সমূহ সমস্যার সম্মুখীন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাজ্যে সাইবার সেল থাকেলও তার সুবিধে কতটা রাজ্যবাসী পাচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অভিজোগ এমন প্রতারণার ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিজেদের দায় এরাতে পুলিশের কাছে ঠেলে দেয় গ্রাহকদের, তো অন্যদিকে পুলিশের কাছে গেলে তারা ঠেলে দেয় ব্যাংকের দিকে। এই দুইয়ের দায় এড়ানোর খেলায় কষ্টারজিত অর্থ খুইয়েও হয়রানির শিকার হতে হয় গ্রাহকদের। প্রতারিত অনুয়ার হোসেনের এখন একটাই দাবি সংশলিস্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তার কষ্টারজিত টাকা জেন তার একাউন্টে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।