পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে বুধবার জনসভা ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদির । ভাতিণ্ডা নেমে হেলিকপ্টারে সভাস্থলে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। আবহাওয়া খারাপ থাকায় সড়কপথে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। পথে একটি উড়ালপুলে তাঁর কনভয় প্রায় ১৫ মিনিট আটকে ছিল। তার পর সেখান থেকে কনভয় ঘুরিয়ে বিমানবন্দরে ফিরে আসতে হয় মোদীকে।পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে যাওয়ার পথে সেতুতে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় আটকে থাকল প্রায় ২০ মিনিট।এর ফলে হতে পারত তাঁর প্রাণ সংশয়। এই নিয়ে মামলা উঠল সুপ্রিম কোর্টে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রীর পাঞ্জাব সফরের খুঁটিনাটি সমস্ত তথ্য চাইল। ওই তথ্য সংরক্ষণ করে রাখার নির্দেশ দিল।এদিন মামলাটি শুনল প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার বেঞ্চ। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ওই সফরের সমস্ত তথ্য ‘সুরক্ষিত হেপাজতে’ সংরক্ষণ করে রাখার নির্দেশ দিল।
পাঞ্জাব পুলিশ, এসপিজি বা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ এবং অন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা করারও নির্দেশ দেওয়া হল। এই ঘটনায় আলাদাভাবে তদন্ত করছে কেন্দ্র এবং পাঞ্জাব সরকার। সোমবার পর্যন্ত সেই তদন্ত স্থগিত রাখারও নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।এদিন সুপ্রিম কোর্টে বুধবারের এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে কেন্দ্র। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বললেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনা ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’। আন্তর্জাতিক মহলে লজ্জার মুখে পড়তে হত দেশকে। এই নিয়ে এনআইএ তদন্তেরও দাবি তুলেছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার আবেদনকারীও একই দাবি তুলেছেন।সলিসিটর জেনারেল মেহতা আরও বললেন, ওই কনভয় আটকের ফলে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছিল। ‘এই নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার জন্য পাঞ্জাব সরকার এবং পুলিশ দায়ী। সীমান্তের ওপারের সন্ত্রাসবাদীদেরও হাত থাকতে পারে। সারা দুনিয়ার কাছে এটা লজ্জার বিষয়।’সুপ্রিম কোর্টে পাঞ্জাব সরকার অভিযোগ মানেনি।
জানিয়েছে, কনভয় আটকের দিনই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পাঞ্জাব সরকার। কেন্দ্রও তদন্ত কমিটি গঠন করে। ঘটনার তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্ট যে কাউকে ইচ্ছা নিয়োগ করতে পারে।এই নিয়ে সরব বিজেপি। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে তারা। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছে।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, বিক্ষোভ যে হতে পারে, সেই নিয়ে গোয়েন্দারা সমস্ত তথ্য দিয়েছিল তারা। এর পরেও পাঞ্জাব পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকী ‘ব্লু বুক’–এর নির্দেশও মানেনি। আর একটু হলেই বিপদে পড়তে পারতেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।