বনদস্যুদের কারণে ধীরে ধীরে ফাঁকা হচ্ছে ঘন বনাঞ্চল। ফলে দেখা দিচ্ছে বনাঞ্চলে খাদ্য সঙ্কট। আর সে কারণেই লোকালয়ে প্রায় প্রত্যেক দিন উন্মুক্ত তান্ডব চালাচ্ছে বনের বন্য হাতির দল। সোমবার রাতভর তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীনস্থ চাকমাঘাট স্থিত ঠাকুর চাঁন বৈশ্য পাড়া এলাকায় বন্য হাতির তান্ডবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কয়েক লক্ষাধিক টাকা।
তেলিয়ামুড়া বণ দপ্তরের কর্মীরা যখন ব্যাস্ত মধু এবং মতি নামক দুই হতিকে নিয়ে মুঙ্গিয়াকামী হাতি ক্যাম্পে ঠিক সেই সময়ই বণ্য দাঁতাল হাতির উন্মুক্ত তান্ডব অব্যাহত প্রায় প্রত্যেক দিন তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীনস্থ বিস্তীর্ণ এলাকায়। বণ্য দাঁতাল হাতির উন্মুক্ত তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেলিয়ামুড়া মহাকুমার কৃষককূল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ জন। সোমবার রাতভর বণ্য দাঁতালের দল তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীনস্থ চাকমাঘাট ঠাকুর চাঁন বৈশ্য পাড়া এলাকার বাসিন্দা লব সরকার ও কুশ সরকারের বাড়িতে তান্ডব চালায়।
হাতীর তান্ডবের শিকার এক মহিলা হাড় হিম করা ঘটনা ক্যামারার সামনে তুলে ধরেন। রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে দুটি বসতঘর, টিভি,সহ প্রচুর ধান-চাল নষ্ট করে।এতে প্রায় বেশ কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে ওঁই মহিলা জানান ।যদিও দুইজন এ.ডি.এস টিমের হাতি তাড়ানোর কাজে নিযুক্ত ভলান্টিয়ার সহ এক বনকর্মী এবং পরিবারের লোকজনের রাতভর প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা নাগাদ হাতি তাড়াতে সমর্থ হয়।কিন্তু এইভাবে কতদিন? তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্ষতি গ্রস্থ বাড়ির মালিক।
তবে প্রায় প্রত্যেক দিন যেভাবে বণ্য দাঁতালের দল লোকালয়ে এসে হানাদারি চালাচ্ছে তাতে স্বাভাবিক ভাবেই অনুমান করা যাচ্ছে ঘন বনাঞ্চল ধীরে ধীরে ফাঁকা হওয়ার কারণেই লোকালয়ে খাদ্য সঙ্কটের কারণে প্রবেশ করছে বণ্য দাঁতালের দল। সাধারণ মানুষ জন চাইছে বণ্য দাঁতালের আতঙ্ক থেকে নিস্তার পেতে, আর সে কারণে যেন স্থায়ী বন্দোবস্ত গ্ৰহণ করে তেলিয়ামুড়া বনদপ্তর। এখন দেখার বণ্য হাতির সমস্যা নিরসনে কবে নাগাদ স্থায়ী বন্দোবস্ত গ্রহণ করে তেলিয়ামুড়া বনদপ্তর।