মধু ও মতিলালের এখন নতুন ঠিকানা মুঙ্গিয়াকামিতে। এই মধু এবং মতিলাল কিন্তু কোনো ব্যক্তি নন। দুজনেই বিশাল বড় জীব। মানে হাতি। এতদিন সিপাহীজলা অভয়ারন্যে ছিলেন তারা। পর্যটকদের মনোরঞ্জন করেছেন। তবে শনিবার থেকে মতিলাল ও মধুকে দেখা যাবে না সিপাহিজলা অভয়ারণ্যে। শুক্রবার তাদের নিয়ে যাওয়া হল তেলিয়ামুরার মুঙ্গিয়াকামিতে নব নির্মিত এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে। এখানেই নাকি সারা রাজ্যের হাতিদের রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঘটনার বিবরণে জানা গেল, রাজ্য বনদপ্তর কর্তৃক হাতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য তেলিয়ামুরার মুঙ্গিয়াকামিতে তৈরি করা হয়েছে এই এলিফ্যান্ট ক্যাম্প।
সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হাতি গুলিকে সংরক্ষণ করে রাখা এবং পর্যটকরা যেন তাদের দেখতে পারেন তার ব্যবস্থা ও করা হয়েছে। প্রথম দফায় সিপাহীজলায় সংরক্ষিত চারটি হাতির মধ্যে থেকে মতিলাল ও মধু নামের দুটি হাতিকে মুঙ্গিয়াকামিতে নিয়ে যাওয়া হল। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একথা জানালেন চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন আর কে সামল।
উল্লেখ্য ২০০৫ সালে উদয়পুর বনদপ্তর উদ্ধার করে সিপাহীজলা অভয়ারন্যে পাঠিয়েছিল মধুকে এবং ২০০৭ সালে মতিলালকে আনা হয়েছিল কৈলাশহর থেকে। দীর্ঘদিন যাবৎ মতিলাল ও মধুকে লালন পালন করছিল সিপাহীজলা অভয়ারণ্যের কর্মীরা। এদিন মধু ও মতিলালকে সিপাহীজলা অভয়ারণ্য থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় ভারাক্রান্ত মনে তাদের বিদায় জানায় অভয়ারণ্যের কর্মীরা। এমবিএনস হাতির।
এত বছর খুবই যত্ন সহকারে এই দুটি হাতিকে লালন পালন করেছিলেন অভয়ারণ্যের কর্মীরা। এখন তাদের চলে যেতে হবে। বিষয়টা ঘিরে প্রত্যেকেই খুব কষ্ট পেলেন। আপাতত সিপাহীজলা অভয়ারন্যে কিশোর ও গিতারানি নামের অপর দুটি হাতি রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে ব্যবস্থা করে তাদেরও মুঙ্গিয়াকামিতে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর হাতি শূন্য হয়ে পড়বে সিপাহীজলা অভয়ারণ্য। এরপর আর সিপাহিজলাতে গিয়ে কোনো পর্যটকই হাতি দেখতে পাবেন না। কেন না হাতি দেখতে হলে এখন সবাইকে যেতে হবে মুঙ্গিয়া কামিতে এলিফেন্ট ক্যাম্পে।