রাজধানী আগরতলার অন্যতম বনেদি ও মানব সেবা মূলক সামাজিক সংগঠনের নাম লালবাহাদুর ব্যায়ামাগার। প্রতি সপ্তাহে বিনামূল্যে দুস্থদের মধ্যে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান,আর্থিক সাহায্য ও আইনি সহায়তা প্রদান প্রভৃতি নানাহ সামাজিক কর্মসূচির সাথে এই ক্লাবটির নাম দীর্ঘদিন ধরেই জড়িয়ে রয়েছে। আর শুক্রবার এই ক্লাবের সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হলো আরও একটি নতুন পালক। এদিন থেকে শহর ও রাজ্যবাসীর স্বার্থে একটি শব বাহী গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাহাদুর ব্যায়ামাগার কর্তৃপক্ষ। এলাকারই যুবক প্রয়াত শুভ্রাংশু দে-র জন্মদিনটিকে স্মরণ রাখতে তার পরিবার ক্লাব কর্তৃপক্ষকে একটি শববাহী গাড়ি প্রদান করে ।এই শব-বাহীগাড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে আজ থেকে পরিষেবা প্রদান শুরু করে।
এই উপলক্ষে লালবাহাদুর ক্লাব প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশনের সান্তনু মহারাজ এবং প্রজাপিতা ব্রহ্মকুমারী ঈশ্বরীয় বিদ্যালয়ের বেহেনজী ।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের সান্তনু মহারাজ বলেন ,মানুষের জন্ম যেমন আছে তেমনি মানুষের মৃত্যুও আছে। কাজেই মানুষ বেঁচে থাকে। এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রয়াতশুভ্রাংশু-র পরিবার পরিজন এমনই একটি কাজ করলেন। ক্লাবের সামাজিক কাজকর্মের ভুসি প্রশংসা করেন সান্তনু মহারাজ।
এই অনুষ্ঠানে বলতে গিয়ে লালবাহাদুর ব্যায়ামাগারের সভাপতি তথা আগরতলা প্রেসক্লাবের সম্পাদক প্রণব সরকার শুভ্রাংশু দে-র পরিবার-পরিজনদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি জানান শুভ্রাংশুর স্মৃতি রক্ষার্থে এই গাড়ি শহর এবং রাজ্যের দুস্থ ও গরিব জনসাধারণকে বিনামূল্যে পরিষেবা প্রদান করবে। আগামী নতুন বছরের শুরুতেই ক্লাব একটি আধুনিক মানের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু করবে। পাশাপাশি ক্লাবের বর্তমান চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান কেন্দ্রটিও আরো বড়ো আকারে করা হবে।
উল্লেখ্য শুধু সামাজিক কর্মকান্ডই নয় ,খেলাধুলাতেও লালবাহাদুর ব্যায়ামাগারের বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। একাধিকবার এই ক্লাব টিএফএ পরিচালিত রাখাল শীল্ড নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং এ-ডিভিশন ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করেছে।