16 বছর আগে ইসলামিক শরীয়ত অনুসারে বিয়ে হয়েছিল সোনামুড়া থানাধীন দুর্গাপুর গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে নাজমা বেগমের সাথে মেলাঘর থানাধীন পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলকাছ মিয়ার ছেলে ফারুক আহমেদ এর।পেশায় ফারুক আহমেদ TSR বাহিনীতে কর্মরত ।অভিযোগ বিয়ের তিন বছর পর্যন্ত ভালো কাটলেও এই দম্পতির মধ্যে তিন বছর পর থেকে শুরু হয় দুজনের মধ্যে পারিবারিক কলহ ঝগড়া-বিবাদ।যা আজও বর্তমান। এই দম্পতির তিনটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
ছেলেটি নাসিমা বেগম অভিযোগ তার স্বামী তার ওপর অকথ্য নির্যাতন, কখনো শাররীক কখনো মানসিক ভাবে নির্যাতন করে এবং কথা কথা বলে তাকে মেরে ফেলবে এবং মেরে বিয়ে করবে ইত্যাদি।অভিযোগ নাসিমা বেগমের স্বামী ফারুক আহমেদ আরো বলে বিগত দিনের তেলকাজলা এক মহিলা মাডার প্রসঙ্গ টেনে এনে নাসিমা বেগম কে হুমকি-ধমকি দিয়ে থাকে।এখানে শেষ নয় নাসিমা বেগম তার স্বামীর টিএসআর ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে পরকীয়া অভিযোগও এনেছেন।
নাসিমা বেগম আরো অভিযোগ করেন তার শ্বশুর এবং শাশুড়ি পর্যন্ত তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।স ম্প্রতি নাসিমা বেগম এবং তার স্বামী ফারুক আহমেদ বাইকে করে নাসিমা বেগম এর বাপের বাড়ি যাচ্ছিল এবং হঠাৎ মধুবন এলাকা আসলে সমতল জায়গায় নাসিমা বেগমের স্বামী টি এস আর ফারুক আহমেদ বাইকের ব্রেক এমন জোরালোভাবে ধরেন যার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টিএসআর ফারুক আহমেদের স্ত্রী বাইক থেকে পড়ে যান। কিন্তু টিএসআর ফারুক আহমেদ বাইকে বসে রয়েছেন তার কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি!! এখানে আরো অভিযোগ টি এস আর ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাজমা বেগমের এর যে,ফারুক আহমেদ তাকে ইচ্ছা করে বাইক থেকে ফেলে দিয়েছে মারার জন্য।
কারণ বিগত দিনের নাসিমা বেগম এর শ্বশুরবাড়ির লোকজন থেকে এবং তার স্বামীর যে ধরনের যে ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন হয়েছেন এবং কত কথা বলেছে তাকে মেরে ফেলবে এই সমস্ত বিষয়ের উপর নির্ভর করে নাসিমা বেগম তার স্বামী টিএসআর ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন। শেষ পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থল থেকে নাসিমা বেগম কে আগরতলা জিবি হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে নাজমা বেগমের কিছুটা শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তার পরিবারের লোকজন নাসিমা বেগম কে সোনামুড়া হাসপাতালে নিয়ে আসেন এবং আরো অভিযোগ উঠেছে টি এস আর ফারুক আহমেদ হাসপাতালে এসে ও নাসিমা বেগম কে হুমকি-ধমকি দিয়ে গেছে ।বর্তমানে নাসিমা বেগম সোনামুড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।