Connect with us
Your site title

latest news

ধর্মনগর রেল স্টেশনে রিকশা চালক তিনশো টাকার ভাড়া চায় তিন হাজার।

Published

on

ভোলানাথের সামগ্রী। তা ও একদম শুকনো। এক টানেতেই রাজা।।। এই সামগ্রী নিয়ে ধর্মনগর রেল স্টেশনে নামে চার নেশা কারবারী। নেমেই এক ই রিকশা চালককে বলে, আরে ভাই,যাবে কি চোরাইবাড়ি। রিকশা চালক ভাড়া চায় তিন হাজার টাকা। তিনশো টাকার ভাড়া তিন হাজার। স্বল্প দূরত্বের ভাড়া এক লাফে দশগুন জেনে ও রাজি হয়ে গেলেন সেই চারজন।। তিনটি ব্যাগ ছিল তাদের সঙ্গে। কথা বার্তাতে অসংলগ্নতা। বিষয়টা আচ করে নেয় ই রিকশা চালক। নিশ্চয়ই ব্যাগ গুলোতে অবৈধ কিছু রয়েছে। তা না হলে দশ গুন বেশি ভাড়া দিয়ে কেন তারা দেবেন। রিকশা চালক কিশোর বাবু তাদের কিছুই বুঝতে দেননি। ধর্মনগর রেল গেটের সামনে গিয়ে রিকশায় অসুবিধে হচ্ছে বলে ভান করে চারজনকে নামান তিনি। নামিয়ে ব্যাগ গুলোতে তল্লাশি চালাতেই ঝোলা থেকে বেরিয়ে আসে গাঁজার বেড়াল। খবর দেয়া হয় ধর্মনগর পুলিশ স্টেশনে। বিষয়টি অনুভব করে দুই নেশা কারবারী চম্পট দেয়। বাকি দুইজনকে গ্রেপতার করলো পুলিশ। ধৃতরা হলো মন্টু রায় এবং ধীরাজ কুমার। দুজনের বাড়ি বিহারে।

পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী দুইজনকেই পাকড়াও করতে সক্ষম হয় তারা। তবে ই রিকশা চালকের মতে তারা দুজন নয় একসঙ্গে চারজন ছিল। তিনটি ব্যাগ থেকে প্রায় ২৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করলো পুলিশ। এক্ষেত্রে পুলিশের বক্তব্যের সঙ্গে ই রিকশা চালকের বক্তব্যের অনেকটাই বেমিল। প্রশ্ন হলো, এই গাঁজা গুলো নিয়ে কিভাবে তারা আগরতলা থেকে ডেমো ট্রেনে করে ধর্মনগর গিয়ে পৌঁছলো। দুই স্টেশনেই তো জি আর পির পুলিশ রয়েছে। কিভাবে তাদের চোখে ধুলো দিয়ে গাজা গুলো নিয়ে বেরিয়ে গেল নেশা কারবারীরা। বিষয়টা কিন্তু সত্যি ই ভাবনার। যদি না ই রিকশা চালকের সন্দেহ হতো, তাহলে তো আর তাদের টিকির নাগালই পেতো না পুলিশ।

Continue Reading
Advertisement
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © 2017 news vanguard | develope by : Gorilla Tech solution