Connect with us
Your site title

latest news

বিলোনিয়া থানার লকআপ থেকে পালিয়ে গেল এক দাগী নেশা কারবারি।

Published

on

বিলোনিয়া থানার লকআপ থেকে পালিয়ে গেল এক দাগী নেশা কারবারি। চাঞ্চল্যকর ঘটনা সোমবার সকালে। তবে লক আপের সামনে চব্বিশ ঘণ্টা সেন্ট্রি ডিউটি থাকা সত্ত্বেও কিভাবে অভিযুক্ত পালিয়ে গেল এনিয়ে রহস্য দানা বেধেছে। প্রশ্ন উঠেছে থানায় কর্মরত পুলিশ কর্মীদের দায়িত্ব কর্তব্য নিয়েও।

থানার লকআপ থেকে আসামীর পালিয়ে যাওয়া এবং জেল থেকে বিচারাধীন আসামীর পালিয়ে যাবার ঘটনা রাজ্যের ইতিহাসে নতুন কোন ঘটনা নয়। অতীতে এই ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। সোমবার সাত সকালে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে বিলোনিয়া থানায়। এক দাগী নেশা কারবারি বিলোনিয়া থানার লকআপ থেকে পালিয়ে যায়। কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার এই বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেন। ততক্ষণে সে হয়ত কয়েক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে নিয়েছে। তবে কোন সময়ে সে পালিয়ে গেছে তা কেউ বলতে পারছেন না। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পুলিশ কর্মীরা তাকে এদিক ওদিক খুঁজতে শুরু করে। কিন্ত তাকে খুঁজে পায়নি।
রবিবার বিকেলে কিছু যুবক বিলোনিয়ার কুখ্যাত নেশা বিক্রেতা ত্রিপুরাবাজারস্থিত অর্জুন বৈদ্যর বাড়ি থেকে অভিজিৎ দাসকে বেরিয়ে আসতে দেখলে তার পেছনে ধাওয়া করে বিলোনিয়া রেল স্টেশনে এসে পৌঁছলে তাকে পাকড়াও করে যুবকরা খবর দেয় জিআরপিকে। সঙ্গে সঙ্গে এই অভিজিৎ দাসের কাছ থেকে ২১টি ব্রাউন সুগারের কোটা উদ্ধার করে জিআরপি। খবর দেওয়া হয় বিলোনিয়া থানায়। পুলিশ এসে অভিজিতকে নিয়ে যায় বিলোনিয়া থানায়। সোমবার সকালে থানার লক আপ থেকে আচমকা সে পালিয়ে যায়। থানায় চব্বিশ ঘণ্টা সেন্ট্রি ডিউটি থাকে। এরপরেও কিভাবে দাগী নেশা কারবারি লকআপ থেকে পালিয়ে গেল এনিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে পুলিশ কর্মীদের মধ্যেই। নিন্দুকেরা বলছে ইচ্ছাকৃত ভাবেই অভিজিৎ দাসকে থানার লক আপ থেকে পালিয়ে যাবার সুযোগ করে দিয়েছে কর্তব্যরত পুলিশ। যদি তা না হত থানার লক আপের সামনে চব্বিশ ঘণ্টা সেন্ট্রি ডিউটি থাকা সত্ত্বেও কিভাবে অভিজিত পালিয়ে গেল? সে নিশ্চয়ই লকআপে থাকা লোহার রড ভেঙ্গে চলে যায়নি? আর তাতে এক প্রকার স্পষ্ট পুলিশের মদতেই সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। তবে রবিবার রাতে বিলোনিয়া থানায় যে সব পুলিশ আধিকারিকরা ছিলেন তাদের কর্তব্যে অবহেলা এবং গাফিলতির কারণেই হয়ত নেশা কারবারি পালিয়ে গেছে। যাদের কর্তব্যে অবহেলা এবং গাফিলতির কারণে নেশা কারবারি পালিয়ে গেছে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন বিলোনিয়াবাসী। থানার ল ক আপ থেকে যদি আসামী পালিয়ে যেতে পারে তাহলে বিলোনিয়া থানার পুলিশ সাধারণ মানুষকে কতটা নিরাপত্তা দিচ্ছে তা এই ঘটনা থেকেই প্রমানিত। তবে খবর লেখা পর্যন্ত কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে বিলোনিয়া থানার পুলিশ কর্মীদের কাউকেই বরখাস্ত বা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়নি। থানার লকআপ থেকে আসামী পালিয়ে যাবার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিলোনিয়া মহকুমা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।

 

Advertisement
Continue Reading
Advertisement
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © 2017 news vanguard | develope by : Gorilla Tech solution