Connect with us
Your site title

News Tripura

জীবন সায়াহ্নে এসেও জঙ্গল থেকে লতা-পাতা কূড়াতে হচ্ছে উপজাতি দম্পত্তির।

Published

on

জীবন সায়াহ্নে এসেও জঙ্গল থেকে লতা-পাতা কূড়াতে হচ্ছে উপজাতি দম্পত্তির। এবং তা বিক্রি করে করছে দিনাতিপাত। এমনই এক ঘটনা ক্যামেরা বন্ধী হল শুক্রবার তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের অধীনস্থ ৩৫ মাইল এলাকায় আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশে।

তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের অধীনস্থ ৩৫ মাইল এলাকায় আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশে দীর্ঘ বছর ধরে সুদন্ন দেববর্মা ও সবিতা দেববর্মা নামে এক উপজাতি বৃদ্ধ দম্পতি জীবন সায়াহ্নে এসেও বনের লতা পাতা কুড়িয়ে বিক্রি করে নিজেদের সংসার প্রতিপালন করছে। তাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৪ জন। বিগত বাম আমলে ওই পরিবারটির ভাগ্যে জুটে ছিল নামে মাত্র একটি সরকারি ঘর,বর্তমানে ওই ঘরটি দৈন্যদশা গ্রস্থ। সুদন্ন দেববর্মা ও সবিতা দেববর্মার ভাগ্যে জোটেনি সরকারি ভাতা কিংবা অন্য কোন সুযোগ সুবিধা। তাদের সঙ্গেই রয়েছে তাদের নাতনি।কিন্তু করুণা মহামারীর কারণে তাদের নাতনির ও বর্তমানে পড়াশুনা বন্ধ। কেননা এই পরিবারটির নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা ,তাই সাধ থাকলেও উপায় নেই।তবে পরিবারটির অন্তোদয় রেশন কার্ড থাকার ফলে কিছুটা হলেও সুবিধা পাচ্ছে।
কথা প্রসঙ্গে ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধা সবিতা দেববর্মা জানিয়েছেন,যদি বেশি দামে গ্রাহকদের কাছে লতা-পাতা;শাক-সব্জি বিক্রি করি তবে দৈনিক ২০০ থেকে ২৫০ টাকা রোজগার করা সম্ভব হয়। আর নতুবা ১০০ -১৫০ টাকা নিয়েই বাড়ি ফিরতে হয়।

বিগত বাম আমলে নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বর্তমানে হতাশাগ্রস্থ হয়ে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশে বসেই লতা-পাতা,শাক-সব্জি বিক্রি করে চলেছেন জীবন সায়াহ্নে এসেও এই উপজাতি দম্পতি। অপরদিকে পাহাড়ের ক্ষমতার মসনদে বুবাগ্ৰার তিপ্রা মথার সরকার। এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিরি বাসীদের উন্নতিকল্পে এখন পর্যন্ত কি কার্য সাধিত করেছে তা নিয়ে রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। অন্য দিকে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এখনও পায়নি কোন ধরনের ভাতা । যদি তাদের কোন প্রকার সরকারি সুযোগ সুবিধা কিংবা ভাতা জোটে তবে হয় তো বা জীবনের শেষ সময় টুকুতে একটু আরামে দিনাপাত করতে পারবে এই উপজাতি দম্পতি।এবং সেই বুক বাধছে এই পরিশ্রমী যুগল।


 

Advertisement

Continue Reading
Advertisement
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © 2017 news vanguard | develope by : Gorilla Tech solution