Connect with us
Your site title

Environment

বনদস্যুদের উৎপাতে ফাঁকা হচ্ছে ঘন বনাঞ্চল

Avatar photo

Published

on

১৮মুড়া পাহাড় থেকে উৎপত্তি হওয়া খোয়াই নদীতে জলের টান ধরেছে। শুখা মরশুমের শুরুতেই খরস্রোতা খোয়াই নদী অনেকটা মরা গাঙ্গে পরিণত। খোয়াই নদীতে জলের বদলে রাশি রাশি বালির চড়। এ যেন এক অশনী সংকেতের পদধ্বনি।খোয়াই জেলার ১৮মুড়া পাহাড়ের বনভূমি ঘনত্ব হারিয়েছে কারণে কারণে।১৮মুড়া ঘন বনাঞ্চল বর্তমানে অনেকাংশে ফাঁকা হয়ে গেছে। সভ্য সমাজের মানুষজন বসতি গড়ে তোলার জন্য বনভূমির অতি মূল্যবান গাছ কেটে নিয়েছে নিজেদের প্রয়োজনে। ঘন বনাঞ্চল থেকে যে পরিমাণ গাছ কাটা হয়, সেইমতো বনসৃজন করা হয় না। যার ফলে ঘন বনভূমি ক্রমান্বয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বনভূমি ফাঁকা হয়েছে।

অন্যদিকে বনদস্যুরা ১৮মুড়া ঘন বনাঞ্চল ফাঁকা করছে। যা বনকর্মীরা ও জানে। এতে আবার একাংশ বনকর্মীদের মদতে বনদস্যুরা উল্লাসের সাথে বৃক্ষছেদন করে পাচার কার্য করে যাচ্ছে নীরবে। ফলে ১৮মুড়া বনাঞ্চলে যেমন মূল্যবান গাছের সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে তেমনি বনভূমিতে লতানো গুল্মজাতীয় গাছগাছালিও নেই। যার কারণে বৃষ্টির জল পাহাড় ধরে রাখতে পারেনা। ফলে খোয়াই নদী তার খরস্রোতা হারিয়েছে, নদীতে রাশি রাশি বালির চড় থাকায় নদীর নাব্যতাও হ্রাস পেয়েছে।

ঘন বনাঞ্চল না থাকার ফলে এর প্রভাব পড়েছে খোয়াই নদীর উপর। খোয়াই নদীতে জল না থাকার কারণে এর প্রভাব পড়েছে কৃষিক্ষেত্রে ।ফলে শীতকালীন সাক সব্জি চাষে জলসেচের দেখা দিয়েছে বলাই বাহুল্য। তাছাড়া খোয়াই নদীতে জল না থাকার কারণে এর প্রভাব পড়েছে তেলিয়ামুরা শহরবাসীদের উপর। কারণ খোয়াই নদীর জলের উপর ভিত্তি করেই বিগত দিনে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এর মাধ্যমে শহরবাসীদের মধ্যে দুবেলা জল প্রদান করে তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদ। এবার শুখা মরশুমের শুরুতেই খোয়াই নদীতে জলের টান ধরেছে রাশি রাশি বালির চড় থাকায় তেলিয়ামুড়া শহরবাসীরাও জলের জন্য দুর্ভোগ সহ্য করতে হচ্ছে।বিশেষজ্ঞদের মতে প্রশাসনিকভাবে ১৮মুড়া বনাঞ্চলে বনসৃজন করে বনভূমিকে চাঙ্গা করে তুলতে হবে।এর ফলে খোয়াই নদীর নাব্যতা ফিরে পেতে পারে ।যা একান্তই প্রয়োজন ।

Advertisement

Copyright © 2017 news vanguard | develope by : Gorilla Tech solution