বিজয় দিবসের ঘুম ভাঙ্গে শ্লোগান শ্লোগানে। সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে হাজারো গাড়ি ছুটে চলে সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধের উদ্দেশ্যে। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিজয় দিবসের আয়োজনে মেতে ওঠে। এদিন সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাতীয় স্মৃতি সৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে গোটা বাংলাদেশই একটা মঞ্চ। ইঁটপাথরের রাজধানী থেকে শুরু করে গ্রমীনজনপথেও পালিত হয় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান।জাতী স্মৃতি সৌধে নিউজ ভ্যানগার্ডের ক্যামেরায় ধরা পড়ল মানুষের আনন্দ উল্লাস সহ বিভিন্ন চিত্র।

Bangladesh Victory Day
শ্লোগানে শ্লোগানের মুখরিত স্মৃতি সৌধের বিশাল প্রঙ্গন। এখানে বিভিন্ন অংশের মানুষের সঙ্গে কথা হয় নিউজ ভ্যানগার্ডের পক্ষ থেকে । ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনার দুরদর্শিতায় মাধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বিশ্বের একটি দেশ বাংলাদেশ। পদ্মাসেতু, কর্ণফুলি নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে।
১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিলো। সেদিনের বিধ্বস্ত বাংলাদেশের মাটি কেঁপে ওঠেছিলো জয় বাংলা শ্লোগানে।লাল-সবুজে খচিত পতাকা অর্জনের সেই শ্লোগান ধ্বনি পৌঁছে গিয়েছিলো গোটা দুনিয়ায়। শুধু তাই নয় বাঙালি শপথ নিয়েছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সোনারবাংলা গড়ার।বীর মুক্তিযুদ্দার প্রজন্মরা জানান তাদের অভিজ্ঞতার কথা ।

Silhouette of raised arms
আজ হার-না মানার শপথ নেয়ার দিন। দৃপ্ত পদক্ষেপে বিশ্বে উন্নয়নের রাজপথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার শপথের দিন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়দীপ্ত অঙ্গীকার গ্রহণের দিন।বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আয়োজনে অতিথি হয়ে এসেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর সমাপনী উদযাপনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এই দুই উপলক্ষকে সামনে রেখে ১৬ ও ১৭ই ডিসেম্বর পালিত হবে নানা কর্মসূচি ।